ঋণ কি শুধুই বাড়ি-গাড়ি কেনা বা আপৎকালীন প্রয়োজন মেটাতে নেন গ্রাহক? ডিজিটাল ঋণ পরিষেবা সংস্থা এম-পকেট ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের সমীক্ষায় ইঙ্গিত, প্রযুক্তিবান্ধব প্রজন্মের ক্ষেত্রে লক্ষ্যে বদল এসেছে। জীবনযাপন উন্নত করতে তারা ধার করছেন বটে। তবে এর ঝোঁক বেড়েছে পেশাদারি কৌশল বাড়ানো বা নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগকে সফল করতেও। নতুন প্রজন্মের একাংশ মনে করছে, ঋণ মানে শুধুই দেনার বোঝা নয়। বরং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার চাবিকাঠি। উল্লেখ্য, এম-পকেট আর্থিক প্রযুক্তি সংস্থা। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের খাতায় তার নথিভুক্তি এনবিএফসি হিসেবে।
সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে, ডিজিটাল ঋণ নতুন প্রজন্মের পেশাদারদের কাছে ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। এই প্রযুক্তিতে ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখায় হাজির হয়ে নথি জমা দিতে হয় না। আর্থিক সংস্থা বা ব্যাঙ্কের অনলাইন পোর্টাল, অ্যাপের মাধ্যমে ন্যূনতম তথ্য ও নথি লেনদেন করে সামান্য সময়ের মধ্যেই মেলে ডিজিটাল ঋণ। টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যায়।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্মের ৩০০০ জনের বেশি পেশাদারের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে রিপোর্টটি তৈরি করেছে এম-পকেট। ওই পেশাদারদের প্রায় ৬৩ শতাংশের অভিজ্ঞতা, আর্থিক অবস্থাকে শক্তিশালী করতে ঋণ কাজে লাগানো যায়। একাংশ জানাচ্ছেন,পেশাদারি অগ্রগতি (২১.১%), জীবনযাপনের উন্নতি (২০%) ও শিক্ষার (১৬.৫%) জন্য ঋণ নিয়েছেন তাঁরা। বড় অংশের (২৬.৩%) বক্তব্য, এর প্রয়োজন পড়ে স্বাস্থ্য খাতের খরচ মেটাতে। আপৎকালীন খরচের কথা বলেছেন ১২.৪%। উত্তরদাতাদের একাংশ ধার করেছেন ছোট উদ্যোগ তৈরি করতে ও স্বনির্ভর হয়ে উঠতে। এম-পকেটের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও গৌরব জালান বলেন, ‘‘আর্থিক ক্ষেত্র সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মের ভাবনাচিন্তায় বদল দেখা যাচ্ছে। ঋণকে দায়িত্বশীল ভাবে ব্যবহার করা গেলে তা কাজে লাগানো যায় ব্যক্তিগত উন্নয়ন, কৌশল বৃদ্ধি-সহ নানা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য। যা অর্থনীতির পক্ষেও ভাল।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)