কর্নাটক ভোটের পর থেকে দু’সপ্তাহ লাফিয়ে এবং নাগাড়ে বেড়েছে পেট্রল, ডিজেলের দাম। সেই দৌড়ে ছেদ টেনে বুধবার প্রথম তা কমেছিল লিটারে এক পয়সা করে। আর তাতেই প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষে বিঁধেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। বলেছিলেন, এই সিদ্ধান্ত নিম্ন রুচির। কিন্তু এ দিন কেন্দ্রীয় আর্থিক বিষয়ক সচিব সুভাষচন্দ্র গর্গের দাবি, তেলের দাম কত পয়সা কমবে, তা আসলে পুরোপুরি নির্ভর করে দাম নির্ধারণের সমীকরণের উপর। বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দর, ডলারে টাকার দাম ইত্যাদির উপর যা নির্ভরশীল।
একই সঙ্গে তাঁর আশা, বিশ্ব বাজারে তেলের দরে চাকা ঘোরার পালা এ বার শুরু হয়েছে। আগামী দিনে তা নামবে ক্রমশ। দেশে জ্বালানির দর কমানোর জন্য যে সুযোগের অপেক্ষায় অনেক দিনই চাতক পাখির মতো চেয়ে আছে কেন্দ্র।
এরই মধ্যে আবার বৃহস্পতিবার শোনা গিয়েছে, তেলের দামে রাশ টানার পাকাপোক্ত সমাধান বার করতে ওএনজিসি-র মতো রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার সঙ্গে গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠকে বসেছে কেন্দ্র। বেশ কিছু দিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছে জল্পনা যে, ওই সমস্ত সংস্থার মুনাফায় ভাগ বসিয়ে তেলের দাম আপাতত কমানোর রাস্তা খুঁজছে মোদী সরকার।
নিজেদের তোলা তেল বিশ্ব বাজারের দরেই এ দেশে বিক্রি করে ওএনজিসি। মাঝে শোনা গিয়েছিল, সেই দর ব্যারেলে ৭০ ডলার ছাড়ালেই তার উপরের বাকিটুকু কর মারফত ভাঁড়ারে পুরতে পারে কেন্দ্র। তা দিয়ে ভর্তুকি দিতে পারে তেন বিপণন সংস্থাগুলিকে। যাতে রাজকোষ ঘাটতি না বাড়ে, আবার রাশ টানা যায় তেলের দরেও। শোনা যাচ্ছে মাঝরাতের বৈঠক নাকি তা নিয়েই।
তবে শুধু সেই পদক্ষেপে চিঁড়ে কতটা ভিজবে তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে যথেষ্ট। আর সেই কারণেই সম্ভবত বিশ্ব বাজারের দিকে তাকিয়ে কেন্দ্র। রাশিয়া এবং ওপেক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি ইতিমধ্যেই তেল উৎপাদন বাড়ানোর কথা বলেছে। জুন থেকে এশিয়ায় বিপুল পরিমাণে অশোধিত তেল পাঠানোর কথা জানিয়েছে আমেরিকাও। সব মিলিয়ে জোগান বাড়ার সম্ভাবনা অশোধিত তেলের। কমতে পারে দামও।
ভোট দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করায় কেন্দ্র তাই এক দিকে যেমন নিজেরা সমাধান খুঁজছে, তেমনই আশাবাদী বিশ্ব বাজারে দর কমা নিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy