মুম্বই, ৬ মার্চ: হালে একাধিক শিল্পপতি এবং সংস্থার শীর্ষ কর্তাকে সপ্তাহে ৭০-৯০ ঘণ্টা কাজ করার সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে। তার পরেই উঠেছে প্রশ্ন, তা হলে যে মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সংসার-সন্তানও সামলাতে হয়, তাঁরা কী করবেন? নাকি সাফল্যের মন্ত্র হিসেবে দেওয়া বাড়তি সময় কাজ করার বার্তায় তাঁদের ধরাই হচ্ছে না? এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ‘নওকরি’-র এক সমীক্ষায় দাবি, মহিলা কর্মীদের বড় অংশ নেতৃত্বের দায়িত্ব পেতে উৎসাহ বোধ করলেও কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তাঁদের পিছনের দিকে টেনে ধরছে। ফলে চাইলেও লক্ষ্য পূরণে সক্রিয় ভাবে এগোতে পারছেন না তাঁরা।
দেশের ৫০টি শহরের ৭০,০০০ জন মহিলাকে নিয়ে সমীক্ষা করেছে নওকরি। দেখা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৬৬ শতাংশের বেশি কর্মক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভূমিকায় যেতে আগ্রহী। তবে শেষ পর্যন্ত কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য না থাকার আশঙ্কা তুলে ধরেই ৪৪% পিছিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। এ ছাড়া, সেই পথে বাধা হিসেবে আরও কয়েকটি কারণকে তুলে ধরেছেন সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা। যেমন, পদোন্নতির ক্ষেত্রে অস্পষ্ট নীতি এবং পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন ৩৫%। নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা বাড়ানোর কর্মসূচি সীমিত বলে মনে করেন ১৪%। আর ৭% মহিলা কর্মীর মতে, অনুসরণ করার মতো আদর্শ ব্যক্তিত্বের অভাব রয়েছে।
এর পাশাপাশি রিপোর্টে এটাও স্পষ্ট, এত দিন বেশির ভাগই তাঁদের পুরুষ সহকর্মীদের সমান বেতন পাওয়ার সওয়ালকে গুরুত্ব দিতেন। এখন এগিয়ে রাখছেন ঋতুকালীন ছুটিকে। সমীক্ষায় ৩৪ শতাংশই কর্মক্ষেত্রের নীতি সংক্রান্ত আর্জিতে এক নম্বরে রেখেছেন এই ছুটিকে। সবেমাত্র চাকরি পাওয়াদের প্রায় অর্ধেক এই দাবি পূরণে আপসের জায়গা আছে বলে মনেই করেন না। আর ৭৫ শতাংশের বক্তব্য, তাঁদের কর্মক্ষেত্র এখনও ঋতু-ছুটির মতো কোনও নীতিকে সমর্থন করে না।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)