কাওয়াসাকি নিনজা. —ছবি: ফাইল চিত্র।
সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৪০০ কিমি! ঠিক পড়েছেন, এরকমই প্রায় অবাস্তব গতির বাইক এনে রেকর্ড গড়েছে কাওয়াসাকি কোম্পানি। এইচ২আর বাইকের নাম,কাওয়াসাকি নিনজা সিরিজের সব চেয়ে কুলীন বাইক এটি।
কলকাতাতেও হাজির এই বাইক, তবে এটি কেনার জন্য আপনাকে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে এবং চালানোর জন্য একটি রেসিং সার্কিটের প্রয়োজন, কারণ সাধারণ রাস্তায় এই বাইক নিষিদ্ধ!
গতির জন্যে বিখ্যাত কাওয়াসাকি। জাপানি এই কোম্পানি দীর্ঘ দিন ধরেই বিভিন্ন বাইক বানিয়ে চলেছে, পুরনো বলিউড সিনেমা হোক কি রোড র্যাশগেম, একাধিক কাওয়াসাকি বাইকের সঙ্গে আলাপ হয়ে যাওয়ার কথা সবার।
আরও পড়ুন: যাত্রী সুরক্ষা-সহ নানা বৈশিষ্ট্য নিয়ে বাজারে হাজির স্কোডা র্যাপিড অনিক্স
বিভিন্ন নামী দামি বাইক নির্মাতা যেমন হন্ডা, সুজুকি, বিএমডব্লিউ ডুকাটি, ইয়ামাহা— এদের সবার মধ্যে একটা ঠান্ডা লড়াই লেগেই থাকে আরও বেশি, আরও দ্রুত বাইক বানানোর।দীর্ঘ দিন ধরে সুজুকি হায়াবুশা সব থেকে দ্রুত গতির বাইকের মধ্যে জায়গা করে রেখেছিল, এবার সেখানে নতুন করে নিজের জায়গা করে নেয় কাওয়াসাকি নিনজা এইচ২আর!
পৃথিবীতে সর্বোচ্চ গতির সেরা ১০টি বাইকের লিস্ট খুললে সেখানে অন্তত দুটো কাওয়াসাকির নাম দেখতে পাবেন, এইচ২আর এবং জেডএক্স১২আর, দুটোই নিনজা মডেলের অন্তর্গত।
এইচ২আর যদি সব থেকে দামি মডেল হয়, তার আরও বিভিন্ন মডেল আছে, এইচ ২, এইচ ২ কার্বন, এইচ ২ এসএক্স ইত্যাদি। ২০১৫-তে প্রথম যখন প্রকাশ পায়, সবাইকে চমকে দেয় এর লুক! অসম্ভব এরোডায়নামিক এই বাইকটি দেখেই মনে হয় প্রচন্ড ক্ষমতাশালী, রাগী কোনও রোবট, যেটা বাইকের আকারে বসে আছে।
আরও পড়ুন: কিনুন এই স্মার্ট স্কুটি, দাম মাত্র...
১০০০সিসি-র এই বাইকের সব থেকে কম দামী মডেলটির দাম হল ২১ লক্ষ, ট্যাক্স বাদে! এই বাইক রাস্তার জন্য সুরক্ষিত, এর রাস্তায় চালানো নিয়ে কোনও নিষেধ নেই। কিন্তু সব থেকে দামী যে মডেলটি, যার স্পিড ৪০০কিমি/ঘণ্টার রেকর্ড, সেটি একেবারেই স্ট্রিট-লিগাল নয়, অর্থাৎ সাধারণ রাস্তায় সেটা চালানোর কোনও অনুমতি নেই।
এরকম দামি একটা বাইকের বৈশিষ্টগুলি চমকে দেওয়ার মতো।দামি মডেলে রয়েছে সুপারচার্জার, ফলে অল্প সময়ে আরও বেশি গতি লাভ করা সম্ভব। বাইকের নিজস্ব কম্পিউটারে আপনি দেখতে পাবেন কত ডিগ্রি হেলে বাইক ঘোরাচ্ছেন, উন্নতমানের ক্লাচ-গিয়ার কন্ট্রোল, ফলে মাত্র ২.৬ সেকেন্ডের মধ্যে ০ থেকে ১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা স্পিডে পৌঁছে যাবেন।
অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম, ইঞ্জিন ব্রেকিং কন্ট্রোল, ট্র্যাকশন কন্ট্রোল, লঞ্চ কন্ট্রোল— একাধিক রকমের কন্ট্রোল শুধু আপনাকে গতি নয়, প্রয়োজনীয় সুরক্ষাও দেবে চালানোর সময়।প্রায় ৩৩০বিএইচপি ক্ষমতাসম্পন্ন এই বাইক এই বছর আবার নতুন করে বাজারে হাজির। বুকিং শুরু হয়েছে পয়লা সেপ্টেম্বর তারিখ থেকে, ২০১৯ নাগাদ ডেলিভারি শুরু হয়ে যাওয়ার কথা।
যদি টাকা বাধা না হয়, আর সব থেকে দ্রুত বাইকের স্বপ্ন থেকে থাকে, এর থেকে ভাল বাইক এই মুহূর্তে কোনও কোম্পানির তরফে হাজির নেই। আশা করা হচ্ছে, ২০২০-র মধ্যে প্রথমবার ৪২০বিএইচপির বাইক বাজারে দেখা যেতে পারে, তবে তা এখনই বলা সম্ভব নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy