আগামী অর্থবর্ষের জন্য পাটের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) ঘোষণা করল কেন্দ্র। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা তা ৬% বা ৩১৫ টাকা বাড়িয়ে কুইন্টাল প্রতি ৫৬৫০ টাকা করার প্রস্তাবে সায় দিয়েছে। শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের দাবি, এতে উপকৃত হবেন প্রায় ৪০ লক্ষ পাট চাষি। তাঁরা ওই দামে পাট বিক্রি করে উৎপাদন খরচের থেকে ৬৬.৮% বেশি পাবেন।
উল্লেখ্য, বাজারে পাটের চাহিদা কম থাকলে কৃষকেরা যাতে লোকসান করে তা বিক্রি করতে বাধ্য না হন, তা নিশ্চিত করা এমএসপির উদ্দেশ্য। ওই দামে তাঁদের থেকে পাট কেনে জুট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (জেসিআই)।
এ দিন বনগাঁ-র পাট চাষি গোবিন্দ মণ্ডল এবং কালীপদ মণ্ডল বলেন, “চাষের খরচ ক্রমশ বাড়ছে। নিজেরা চাষ করলে তবু কিছুটা লাভ থাকে। সমস্যা বাড়ে লোক দিয়ে করালে। ফলে অনেকেই অন্য ফসলের দিকে ঝুঁকছেন।’’ প্রশ্ন উঠছে, বর্ধিত সহায়ক মূল্য সেই ঝোঁক কমাবে কি?
জেসিআইয়ের জেনারেল ম্যানেজার কল্যাণ মজুমদারের দাবি, সহায়ক মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এ বার পাট উৎপাদনের উৎসাহ বাড়বে। তিনি বলেন, ‘‘নতুন হার কার্যকর হবে ২০২৫-২৬ সালের পাট মরসুম থেকে। আগের মরসুমে ২০২৪-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত চাষিদের থেকে এমএসপিতে ৪.১০ লক্ষ কুইন্টাল পাট কিনেছি। সাধারণত এর থেকে বেশিই কেনা হয়। যেমন, ২০২৩-২৪ সালে কিনেছিলাম ১৩.১৬ লক্ষ কুইন্টাল। ২০২৪-২৫ সালের ক্ষেত্রে খোলা বাজারে দাম এমএসপির থেকে বেশি ছিল। তাই চাষিরা সেখানেই বেশি বেচেছেন।’’ প্রতি বছর পাট মরসুম চলে জুলাই থেকে পরের জুন পর্যন্ত।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)