ষোড়শ লোকসভার মেয়াদ প্রায় ফুরনোর পথে। ভোটের বাদ্যি বেজে গিয়েছে। এই অবস্থায় আজ নির্মাণ সংস্থাগুলির সংগঠন ক্রেডাইয়ের মঞ্চকে কার্যত ভোটের কাজে ব্যবহার করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নাম না-করে আক্রমণ করলেন গাঁধী পরিবারকে। উপলক্ষ, গরিবদের জন্য বাড়ি।
২০২২ সালের মধ্যে সকলের মাথার উপরে ছাদের ব্যবস্থা করার কথা ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। সেই লক্ষ্যে দ্রুতগতিতে কাজ এগোচ্ছে বলেও দাবি তাদের। কিন্তু বিরোধীদের প্রশ্ন, এই প্রকল্পে নতুনত্ব কী? নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্তের জন্য আবাস তৈরির যোজনা তো আগেও ছিল। এ দিন মোদীর জবাব, ‘‘আগের সরকারের সঙ্গে আমার সরকারের প্রকল্পের তফাৎ এটাই যে, আমাদের প্রকল্প কাউকে অমর করে রাখার জন্য তৈরি হয়নি। কোনও নামদারের প্রচারের জন্য এই প্রকল্প নয়।’’ প্রসঙ্গত, গরিবদের জন্য বাড়ি তৈরির প্রকল্পের নাম আগে ছিল ‘ইন্দিরা আবাস যোজনা’। ২০১৫ সালে তার নাম পাল্টে হয় ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’।
মোদীর অভিযোগ, আগের সরকারের আমলে আবাস যোজনায় উপভোক্তাদের সুবিধার থেকে ক্ষমতাসীনদের প্রচারের উপরেই নজর দেওয়া হত বেশি। তাই যেমন তেমন করে তুলে দেওয়া হত চারটে দেওয়াল। কিন্তু তাঁর আমলে উপভোক্তাদের সুবিধার উপরেই নজর দেওয়া হয়েছে সবচেয়ে বেশি। কাজও হয়েছে ইউপিএ আমলের থেকে অনেক দ্রুত গতিতে। আগের জমানায় দশ বছরে শহরের গরিব মানুষের জন্য ১৩.৫ লক্ষ বাড়ি তৈরি হয়েছিল। আর তাঁর সাড়ে চার বছরের শাসনে তৈরি হয়েছে ৭২ লক্ষ— দাবি মোদীর। একই সঙ্গে দাবি, ইউপিএ আমলে গরিব-মধ্যবিত্তের জন্য বাড়ি তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ৩৮ হাজার কোটি টাকা। আর তাঁর আমলে সাড়ে চার লক্ষ কোটি টাকা। ‘‘এই পরিসংখ্যানই বলে দেবে ওরা কোথায়, আর আমরা কোথায়’’, মন্তব্য মোদীর।
গাঁধী পরিবারের নাম না-করলেও এ দিন রাহুল গাঁধীর নির্বাচন কেন্দ্র অমেঠীর কথা তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, সেখানকার মানুষ তাঁদের সাংসদের প্রতি প্রশ্নহীন আনুগত্য দেখিয়েছেন। বিনিময়ে পেয়েছেন দেওয়ালে লটকানো আবাস যোজনার পোস্টার। যে দেওয়াল আবার দশ বছরে ধসে গিয়েছে। সেই সব বাড়িই আবার নতুন করে তৈরি করতে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়। এ বছরের বাজেটে আবাসন প্রকল্পের সুবিধার্থে কী কী ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছে তাঁর সরকার, সেই ফিরিস্তিও শুনিয়েছেন মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy