—ফাইল চিত্র।
বৃদ্ধির চাকা গড়াচ্ছে তরতরিয়ে। লাগেনি দামের ছেঁকাও— শনিবার রাজধানীতে এক শিল্প সম্মেলনে এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি দুর্নীতির প্রশ্নে বিগত ইউপিএ সরকারকে তুলোধোনা করে তাঁর দাবি, সেই দিন এখন অতীত। ভারতকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে দেখতে চান তিনি। যদিও বিরোধীদের পাল্টা বক্তব্য, যে সরকার বৃদ্ধির হার নিয়ে এত বড়াই করে, কর্মসংস্থান নিয়ে তাদের পাকাপোক্ত বক্তব্য কোথায়! এ দিন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীও মোদীর ‘দুর্নীতি-মুক্ত’ সরকারের দাবিকে খণ্ডন করে বলেছেন, নোটবন্দিই ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্নীতি।
অনেকের মতে, এ দিনের বক্তৃতায় কার্যত আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রচারের সুর বেঁধে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মোদী। দিয়েছেন বিজেপির নির্বাচনী স্লোগান, ‘‘নামুমকিন অব মুমকিন হ্যায় (অসম্ভবও এখন সম্ভব)।’’ বার্তা দিয়েছেন মূলত তিনটি। প্রথমত, বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতির প্রতিযোগিতা চলত। এখন কেন্দ্রের মন্ত্রক এবং রাজ্যগুলির মধ্যে উন্নয়নের প্রতিযোগিতা চলছে। দ্বিতীয়ত, ইউপিএ জমানায় একই সঙ্গে উঁচু বৃদ্ধির হার ও দরিদ্রদের কল্যাণের কথা ভাবা যেত না। এখন সেটা সম্ভব হচ্ছে। তৃতীয়ত, এ বার ২.৫ লক্ষ কোটি থেকে ১০ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হতে হবে ভারতকে।
বিরোধীদের অবশ্য বক্তব্য, মোদী সরকারের আমলে আর্থিক বৃদ্ধির হার চড়া থেকেছে ঠিকই, কিন্তু তা হয়েছে ভিত্তিবর্ষ বদলে এবং সরকারি ব্যয়ের উপরে ভর করে। কিন্তু বেসরকারি লগ্নি কোথায়? আর সরকারি ব্যয়ের উপরে ভর করে বৃদ্ধির হার বাড়াতে গিয়েই তো বার বার বদলাতে হচ্ছে রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা! বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, মূলত খাদ্যশস্যের কম দামের ফলেই মূল্যবৃদ্ধি এখনও পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যা আদতে ক্ষুব্ধ করেছে কৃষকদের।
আবার শিল্পের একাংশের অভিযোগ, নতুন ব্যবসার সুবিধা পাওয়া ও করছাড়ের বিষয়গুলির সমাধান পাঁচ বছরে যথেষ্ট এগোয়নি। সব মিলিয়ে বিরোধীদের দাবি, এই সব কারণেই নতুন করে ‘অচ্ছে দিনে’র স্বপ্ন ফেরি করতে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy