দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষকে রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে নিখরচায় খাদ্যশস্য সরবরাহ করছে কেন্দ্র। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই প্রকল্পকে আরও পাঁচ বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল তারা। এ বার কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রকের দাবি, এই প্রকল্পের প্রতিফলন যাতে ঠিক ভাবে দেশের খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধির উপরে পড়ে, তার প্রক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এই প্রস্তাব সম্পর্কে ২২ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সমস্ত মহলের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
মূল্যবৃদ্ধির ভিত্তিবর্ষ বদল এবং নতুন মাপকাঠি তৈরির ব্যাপারে অনেক দিন ধরে কাজ করছে পরিসংখ্যান মন্ত্রক। এ বার তাতে নিখরচায় খাদ্যশস্য বণ্টনের প্রকল্পটিকে অন্তর্ভুক্ত করার ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, এ কি মূল্যবৃদ্ধির হারকে ‘কৃত্রিম ভাবে’ কমানোর প্রক্রিয়া? বিশেষত বিভিন্ন মহল থেকে যখন মূল্যবৃদ্ধির পরিসংখ্যান এবং বাজারে জিনিসপত্রের দামের ‘অসামঞ্জস্য’ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে! কেন্দ্রের অবশ্য দাবি, এই প্রক্রিয়ায় মূল্যসূচকের বিকৃতির কোনও সম্ভাবনা নেই। শহরের ৫০% এবং গ্রামের ৭৫% মানুষ এই প্রকল্পে উপকৃত হন। আর যেহেতু মূল্যবৃদ্ধির উপরে নির্ভর করে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি, জীবনধারনের খরচ, বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের হিসাব কষা হয়, তাই তাতে নিখরচার রেশন প্রকল্পের যথাযথ প্রতিফলন থাকা প্রয়োজন।
শহরের ১১১৪টি এবং গ্রামের ১১৮১টি বাজার থেকে তথ্য সংগ্রহ করে মূল্যবৃদ্ধির হিসাব কষা হয়। এর মধ্যে রয়েছে খাদ্য, পানীয়, পোশাক, আবাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং পরিবহণের মতো মাপকাঠি। কেন্দ্র বক্তব্য, মূল্য সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া উন্নত করতে চাইছে তারা। এ ব্যাপারে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক, আইএমএফ, রাষ্ট্রপুঞ্জের বিভিন্ন সংস্থা এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছে প্রস্তাব।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)