সারা দেশে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের জেরে মঙ্গলবার দিনভর ভুগতে হল সাধারণ মানুষকে। ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন্স (ইউএফবিইউ)-এর ছাতার তলায় থাকা ন’টি কর্মী ও অফিসার সংগঠনের ডাকা এই ধর্মঘটে বেশির ভাগ এটিএমেরও ঝাঁপ বন্ধ ছিল বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। তবে এই প্রথম ধর্মঘট নিয়ে কড়া মনোভাব দেখিয়ে ইউনিয়নের আওতায় থাকা অফিসারদের ব্যক্তিগত ভাবে সতর্ক করলেন বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। সোমবারই তাঁরা ওই হুঁশিয়ারি জারি করে এ ধরনের ধর্মঘটকে ‘অযৌক্তিক ও বেআইনি’ তকমা দেন।
অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন (এআইবিওসি)-এর সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দাশ জানান, প্রতিটি অফিসারকে আলাদা ভাবে ই-মেল পাঠিয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বলেছেন, ধর্মঘটে অংশ নিলে চাকরির শর্ত ভাঙার দায়ে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। চাকরি থেকে বরখাস্ত বা চাকরিতে ছেদও পড়তে পারে। এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তপন সরকারও তাঁদের ব্যাঙ্কে এ ধরনের বার্তা পাঠানোর কথা জানিয়েছেন। তিনি অবশ্য বলেন, ‘‘আমরা ওই চিঠি গ্রহণ করিনি।’’ সঞ্জয়বাবুও বলেন, কর্তৃপক্ষের আদেশ উপেক্ষা করেই তাঁরা ধর্মঘটের পথে হেঁটেছেন।’’
অফিসারদের সাবধান করে দিয়ে এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বলেছেন, ধর্মঘটে পরিষেবা ব্যাহত হলে সেটা হবে ব্যাঙ্কিং আইন ভাঙার সামিল। আগেও অফিসারদের ধর্মঘটে যোগ না-দেওয়ার আর্জি সাধারণ ভাবে নোটিস দিয়ে জানানো হত। তবে ব্যক্তিগত ভাবে এই প্রথম তাঁদের সাবধান করা হল বলে জানিয়েছেন ইউনিয়নে থাকা ব্যাঙ্ক অফিসাররা।