Advertisement
E-Paper

দিল্লি দ্বিমত বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জ নিয়েই

চার্জ শেষ হয়ে গেলে তা বদলে নতুন ব্যাটারি জোগানোর পরিকাঠামো (চার্জিং স্টেশন) তৈরির যে-প্রস্তাব নীতি আয়োগ দিয়েছিল, তা বাস্তবসম্মত নয় বলে সাফ জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:১৮

২০৩০ সাল থেকে দেশে শুধুই বৈদ্যুতিক গাড়ি। কেন্দ্রের তরফে এই ঘোষণার পরে তিন মাসও গড়ায়নি। এরই মধ্যে তার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো কেমন হওয়া উচিত, সে বিষয়ে দ্বিমত মাথাচাড়া দিল দিল্লির দরবারেই। চার্জ শেষ হয়ে গেলে তা বদলে নতুন ব্যাটারি জোগানোর পরিকাঠামো (চার্জিং স্টেশন) তৈরির যে-প্রস্তাব নীতি আয়োগ দিয়েছিল, তা বাস্তবসম্মত নয় বলে সাফ জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী।

রাস্তার ধারে ব্যাটারি বদলে নেওয়ার কেন্দ্র চালুর প্রস্তাব দেয় নীতি আয়োগ। তারা বলেছিল, গাড়িটি ওই কেন্দ্রে গিয়ে চার্জ দেওয়া অন্য একটি ব্যাটারি ভাড়ায় নিতে পারবে, এমন ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কিন্তু সোমবার দিল্লিতে ফিকি-র সভায় গডকড়ী বলেন, ‘‘মনে হয় না ভারতে এটা বাস্তবসঙ্গত।’’ নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্তের সঙ্গে তাঁর এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি রেল ও বিদ্যুৎমন্ত্রী পীযূষ গয়াল ও পরে গডকড়ী আগামী দিনে বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানোর পরিকল্পনার কথা বলেছেন। প্রয়োজনে জোর করেই তা চালু করার কথাও জানান গডকড়ী। কিন্তু গাড়ি শিল্পমহলের বক্তব্য, সরকার জোর দিয়ে শুধু বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানোর কথা বললেও তার পরিকাঠামো তৈরির বিষয়টি তাদের কাছেই স্পষ্ট নয়।

তবে সোসাইটি অব ম্যানুফ্যাকচারার্স অব ইলেকট্রিক ভেহিক্‌লস-এর প্রেসিডেন্ট সোহিন্দর গিল জানান, তাঁরাও ভাবনাটির বিরোধিতা করেন। তাঁর কথায়, ‘‘ব্যাটারি বদলাতে এ ধরনের কেন্দ্রের সম্ভাবনা খুবই সীমিত। তা লাভজনক হওয়াও কঠিন।’’

তাঁর যুক্তি, বৈদ্যুতিক রিক্‌শ-র জন্য সরকারি ভর্তুকিতে এই ব্যবস্থা গড়া যেতে পারে। আবার ই-কমার্স ব্যবসায় যে-সব দু’চাকার গাড়ি চলে, সেগুলিও ওই কেন্দ্রের সুযোগ নিতে পারে। কিন্তু রিক্‌শ ও দু’চাকার গাড়ির সংখ্যা খুব কম। সোহিন্দর বলেন, ‘‘যাঁদের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য দুই ও চার চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ি রয়েছে, তাঁরা ওই কেন্দ্রে যেতে ততটা আগ্রহী না-ও হতে পারেন। পাশাপাশি সব রিক্‌শ-র ব্যাটারিই প্রায় এক হলেও বিভিন্ন সংস্থার দুই ও চার চাকার গাড়ির ব্যাটারি আলাদা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সব গাড়ি ওই কেন্দ্রে গিয়ে ব্যাটারি না-ও পেতে পারে।’’

তিনি জানান, পাওয়ার গ্রিড ও এনটিপিসি ওই কেন্দ্রগুলি গড়বে বলে পরিকল্পনা হয়েছিল, যেখানে বেসরকারি সংস্থাগুলি ব্যাটারির জোগান দেবে। কিন্তু গোটা বিষয়টি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ব্যবসায়িক ভাবে তা লাভজনক মডেল নয়। তাই এই পরিকল্পনা নিয়ে আগ্রহে কিছুটা ঘাটতি পড়ে।

Nitin Gadkari Electric Car NITI Aayog বৈদ্যুতিক গাড়ি নিতিন গডকড়ী
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy