গ্রীষ্মকালীন প্রশিক্ষণ (সামার প্লেসমেন্ট) ও কর্মী নেওয়ার জন্য ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টগুলির (আইআইএম) চত্বরে বরাবরই ভিড় জমায় দেশ-বিদেশের তাবড় বহুজাতিক। এ বার আইআইএম কলকাতায় (আই আই এম সি) পা রাখল খোদ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠানও। সরকারের নীতি তৈরিতে সাহায্য করে যারা। পাঁচ ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়াকে দু’মাসের জন্য এই প্রথম ক্যাম্পাস থেকে গ্রীষ্মকালীন প্রশিক্ষণের জন্য বাছল নীতি আয়োগ। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এমন নজির সাম্প্রতিক অতীতে নেই।
দু’বছরের ম্যানেজমেন্ট পাঠ্যক্রমে প্রথম বছর শেষে কোনও সংস্থায় এই প্রশিক্ষণের নিয়ম চালু আছে আইআইএমে। সে জন্য প্রতি বছর অনেক বহুজাতিক ও ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক সেখানে পা রাখে। হালফিলে স্টার্ট-আপ সংস্থাও যাচ্ছে। পড়ুয়াদের একাংশ আবার ঝুঁকছে স্টার্ট-আপ খুলে স্বনির্ভর হওয়ার দিকে। ২০০৮ -এর মন্দার পর থেকে সেখানে পা রাখা সরকারি সংস্থাতেও পড়াশোনা শেষে এই প্রশিক্ষণ নেওয়ার ঝোঁক বেড়েছে। এর আগে তৃণমূল কংগ্রেস বা বিজেপি-র প্রচারের দায়িত্ব সামলাতে অংশ নিয়েছেন কিছু ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া। সোমবার আইআইএমসি জানিয়েছে, এ বার সেই তালিকায় যোগ হল নীতি আয়োগ। তারাই এই প্রতিষ্ঠানকে আমন্ত্রণ জানায়। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, নীতি তৈরির এই প্রতিষ্ঠান অ্যানালিটিক্স, লজিস্টিক্স, স্বাস্থ্যের মতো ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের পেশাদারি দক্ষতা কাজে লাগাতে পারে।
স্মরণকালের মধ্যে খোদ সরকারের নীতি তৈরির আঁতুড় ঘরে আইআইএমসি থেকে কেউ প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়েছে বলে মনে করতে পারছেন না সেখানকার ডিরেক্টর শৈবাল চট্টোপাধ্যায় কিংবা প্রাক্তন অধ্যাপক অনুপ সিংহ। শৈবালবাবু বলেন, ‘‘আমাদের পড়ুয়ারা যে দেশের নীতি নির্ধারক সংস্থায় শরিক হচ্ছে, সেটাই ভাল খবর। আশা করি, প্রশিক্ষণ নিয়ে ভবিষ্যতে সেখানে স্থায়ী হওয়ারও সুযোগ পাবে।’’ আর অনুপবাবুর কথায়, ‘‘সরকার দীর্ঘ দিনের আমলাতান্ত্রিক কাঠামোর বাইরে গিয়ে হয়তো অন্য ধরনের দক্ষতাকে কাজে লাগানোর বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখছে। এটা নতুন পদক্ষেপ।’’