আমেরিকায় রফতানিকৃত পণ্যে ২৫% শুল্ক কার্যকর হয়ে গিয়েছে। মাথার উপরে ঝুলছে আরও ২৫ শতাংশের খাড়া। এই অবস্থায় কি রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বোঝাপড়ার রাস্তায় হাঁটা উচিত? এই নিয়ে আলোচনা সর্বত্র। নোবেল সম্মান জয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন, এমন পদক্ষেপের আগে অঙ্ক কষে নিতে হবে। বুঝে নিতে হবে আর্থিক সুবিধা কোথায়।
আজ এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে এক প্রশ্নের উত্তরে অভিজিৎবাবু বলেন, ‘‘রাশিয়া থেকে তেল কেনার ফলে আমরা আর্থিক ভাবে কতটা লাভবান হচ্ছি, তার হিসাব আগে কষতে হবে। সেই আমদানি বন্ধ করলে কি আমেরিকা তাদের শুল্ক প্রত্যাহার করবে? সেটা বুঝে নেওয়া দরকার। তুলনা করে বুঝতে হবে কিসে বেশি লাভ।’’ এই প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করিয়ে দিচ্ছে, ভারত ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশে যে সমস্ত পণ্য রফতানি করে তার একটি ছোট অংশ ছাড়ের তালিকায় রয়েছে। কিন্তু শুল্ক চেপে বসেছে প্রায় ২৭০০ কোটি ডলারের পণ্যে। আরও এক দফা শুল্ক বসা বাকি। নোবেলজয়ীর ব্যাখ্যা, ‘‘২৫% শুল্কের জেরেই রফতানির প্রতিযোগিতায় আমাদের অনেক পণ্য কোনঠাসা হয়ে পড়ছে। এর পরে ৫০% শুল্কে খুব বেশি হেরফের হবে না। ফলে বিষয়টা ভেবে দেখা যেতেই পারে।’’
অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে প্রবীণ অর্থনীতিবিদের দাবি, সাম্প্রতিককালে ভারতীয় অর্থনীতি প্রত্যাশা অনুযায়ী এগোতে পারেনি। মধ্যবিত্তের ধাক্কা খাওয়া, বেসরকারি লগ্নি থমকে থাকা এবং কর্মসংস্থানে গতি না আসাই এর কারণ। তার উপরে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়ছে না বেতনও।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)