আগামী সোমবার থেকে ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলে ৩০টি ‘ডেলিভারি সেন্টার’ খুলছে ডাক বিভাগ। পণ্য বা পার্সল, চিঠি বা নথি বাড়িতে এসে ফিরে গেলে, পরে ওই কেন্দ্র থেকে পাবেন গ্রাহক। তা আনতে নির্দিষ্ট ডেলিভারি সেন্টারে যেতে হবে। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের দাবি, এতে সাধারণ মানুষের ঝক্কি বাড়তে পারে। কারণ, এত দিন গ্রাহক নিকটবর্তী ডাকঘরে এই পরিষেবা পেতেন। কিন্তু ডেলিভারি কেন্দ্রের সংখ্যা কম। তাই এ জন্য অনেককে বাড়ি থেকে দূরে যেতে হতে পারে। যদিও ডাক বিভাগের দাবি, সমস্যা বাড়বে না, বরং কমবে। ডাক ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের অঙ্গ এরটি। এতে পরিষেবাও আরও সহজ হবে।
সূত্রের এটাও দাবি, পরে ডেলিভারি কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়বে। তখন বাড়বে সুবিধাও। গড়ে ৫-৬টি ডাকঘর প্রতিটি কেন্দ্রের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। তথ্য বলছে, রাজ্যের ১৩০টির মতো বড় ডাকঘর এবং শাখা ডাকঘর আপাতত এর আওতাভুক্ত হয়েছে। মূলত, পার্সল বা পণ্য, রেজিস্ট্রি পোস্ট, স্পিড পোস্ট কিংবা সাধারণ চিঠিপত্র এ বার এই ডেলিভারি সেন্টার থেকেই বাছাই হয়ে গন্তব্যে যাবে। ফলে কেউ যদি কোনও নথি কিংবা চিঠি না নিতে পারেন, তা হলে ডাকঘরে নয়, নির্দিষ্ট ডেলিভারি সেন্টারে যেতে হবে। তা বাড়ি থেকে যতটা দূরেই হোক না কেন।
পরিসংখ্যান
গড়ে ৫-৬ টি ডাকঘর নিয়ে তৈরি হয়েছে একটি ডেলিভারি সেন্টার।
আলিপুর, শরৎ বোস রোড, বড়বাজার, দমদম, পার্ক স্ট্রিট, বারাসত, কাঁকুড়গাছি, ব্যারাকপুর, কৃষ্ণনগর, বহরমপুর, দুর্গাপুর, হাওড়া, খড়্গপুর-সহ রাজ্যের ২৮টি জায়গায় খুলছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলের সিকিমে এবং আন্দামানে একটি করে।
পরবর্তী পর্যায়ে কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়বে। এই প্রক্রিয়া চলবে গোটা দেশে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)