আইনের জালে বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থাগুলি।
ব্যাঙ্কের ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে ক্রমশ গুরুত্ব বাড়ছে দেউলিয়া আইনের। কেন্দ্রের দাবি, ওই আইনের হাত ধরে ব্যাঙ্কিং শিল্পে কমতে শুরু করেছে অনুৎপাদক সম্পদের সমস্যা। কিন্তু পাশাপাশি ওই আইনের জালে পড়ে মার খাওয়ার মুখে এসে দাঁড়িয়েছে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন। মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করলেন সম্প্রতি অবসর নেওয়া রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান আর এন সেন।
মঙ্গলবার কয়লা নিয়ে এমজাংশন আয়োজিত এক আলোচনাসভার শেষে তিনি জানান, দেশের ৩১টি বিদ্যুৎ সংস্থা এই মুহূর্তে জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনালে (এনসিএলটি) যাওয়ার মুখে। তাদের নেওয়া ১.৮০ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হয়েছে। ওই সব সংস্থার মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৪০ হাজার মেগাওয়াট। এনসিএলটিতে গেলে এদের অনেকগুলিই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মত রায়ের।
প্রাক্তন কর্তার মতে, ওই সব সংস্থা ইচ্ছা করে ঋণ মেটায়নি এমনটা নয়। ঋণ শোধ না করার পিছনে এমন অনেক কারণ রয়েছে, যেগুলি নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির প্রোমোটারদের হাতে ছিল না। তাই বিষয়টি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ভেবে দেখা জরুরি বলে মন্তব্য করেন রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের প্রাক্তন কর্ণধার।
এ দিকে, বেসরকারি খনিগুলি থেকে যে কয়লা উৎপাদন হবে বলে আশা করা গিয়েছিল, তা বাস্তবায়িত হয়নি বলে জানান কোল ইন্ডিয়ার প্রাক্তন সিএমডি এন সি ঝা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy