ব্যাট হাতে করেছেন ২৫ বল ৬৩ রান। বল হাতে নিয়েছেন এক উইকেট। ম্যাচের সেরাও হয়েছেন হার্দিক পাণ্ড্য। যদিও হার্দিকের কথায়, তিনি ম্যাচের সেরা হওয়ার জন্য খেলেন না। তাঁর একমাত্র লক্ষ্য দলকে জেতানো। ম্যাচের আগে বান্ধবীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিও রেখেছেন হার্দিক।
সূর্যকুমার যাদব আউট হওয়ার পর ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই ছক্কা মারেন হার্দিক। সেটা কি আগের থেকেই ঠিক করে নেমেছিলেন? হার্দিক জানালেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, “এই মাঠে অনেক ক্রিকেট খেলেছি। এখানকার পিচ হাতের তালুর মতো চিনি। জানতাম, ব্যাটে বলে ভাল ভাবে আসবে। তাই প্রথম বলেই ছক্কা মারব ঠিক করেছিলাম। খেলতে নামার আগে আমার বান্ধবীকে বলেওছিলাম সেটা।” এ দিন মাঠে ছিলেন হার্দিকের বান্ধবী মাহিকা শর্মা। অর্ধশতরানের পর মাহিকার দিকে চুমুও ছোড়েন হার্দিক।
মাত্র ১৬ বলে অর্ধশতরান করেছেন হার্দিক। ভারতের হয়ে এটি আন্তর্জাতিক টি-২০তে দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধশতরান। দ্রুততম অর্ধশতরানের রেকর্ড এখনও যুবরাজ সিংহের দখলে। ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১২ বলে ৫০ রান করেছিলেন যুবি। হার্দিক জানতেন না যে, তিনি নজির গড়েছেন। ভারতীয় অলরাউন্ডার বললেন, “আমি সত্যি-ই জানতাম না। আউট হয়ে ফেরার পর একজন বলল। ভাবলাম ইশ্, অল্পের জন্য যুবি ভাইয়ের রেকর্ড ভাঙতে পারলাম না।” পরে অবশ্য হার্দিক জানালেন, তিনি মজা করে কথাটি বলেছেন। তিনি খুব খুশি যে, রেকর্ড এখনও যুবরাজেরই দখলে।
আরও পড়ুন:
এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে চোট পেয়েছিলেন হার্দিক। প্রায় দু’মাস ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন। হার্দিক জানালেন, ফেরাটাই আসল। তিনি বললেন, “কঠিন সময় আসবেই। সেখান থেকে আপনি কী ভাবে ফিরছেন সেটাই আসল। আমি নিজেকে তৈরি করেছি। প্রস্তুতি নিয়েছি। পরিশ্রম করেছি। তার ফসল পেয়েছি। এই ইনিংসটা খুব জরুরি ছিল।”
ভারতকে প্রচুর ম্যাচ জিতিয়েছেন হার্দিক। অনেক বার ম্যাচের সেরা হয়েছেন। কিন্তু পুরস্কারের লোভ কোনওদিনই ছিল না তাঁর। ভারতীয় অলরাউন্ডার বলেন, “আমি ম্যাচের সেরা হওযার জন্য খেলতে নামি না। আমি নামি দেশকে জেতাতে। এই ম্যাচে সেটা পেরেছি। তাতেই আমি খুশি।”
হার্দিকের ইনিংস সবচেয়ে কাছ থেকে দেখেছেন তিলক বর্মা । ম্যাচে শেষে তিলক জানান, তিনি মুগ্ধ হার্দিকের ইনিংস দেখে। তিনি বলেন, “আমার অনেক দিন মনে থাকবে। যা মারছিল সব গ্যালারিতে গিয়ে পড়ছিল। আমি অবাক হয়ে দেখছিলাম। ও থাকায় আমার ব্যাটিংটাও সহজ হয়ে গিয়েছিল।”