—প্রতীকী চিত্র।
নজিরবিহীন উচ্চতায় পৌঁছেছিল দাম। কলকাতার বাজারে (১০ গ্রাম) ২৪ ক্যারাট খুচরো পাকা সোনা সেখান থেকে গত ১৮ দিনে কমেছে ২৪০০ টাকা। আগুন দামে ছেঁকা লাগায় মুখ ফিরিয়েছিলেন যে ক্রেতারা, তাঁরাই নতুন উৎসাহে বাজারে ফিরছেন, দাবি গয়না ব্যবসায়ীদের। তাঁদের বার্তা, ‘‘আগামী কাল অক্ষয় তৃতীয়া। তার আগে সোনার দাম কমেছে। ফলে আমরা নিশ্চিত বাজার উপচে পড়বে ভিড়ে। ছোট-বড়, সব দোকান তৈরি।’’
কলকাতায় ২০ এপ্রিল প্রথম বার ৭৪,৭৫০ টাকা ছোঁয় খুচরো সোনা। জিএসটি ধরে দাঁড়ায় ৭৭ হাজারের দোরগোড়ায় (৭৬,৯৯২.৫০ টাকা)। কিন্তু বুধবার তা নেমেছে ৭২,৩৫০ টাকায়। সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের এমডি-সিইও শুভঙ্কর সেন বলছেন, বহু মানুষের বিশ্বাস অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সোনা কেনা মানে লক্ষ্মীকে ঘরে তোলা। তাই সেই শুভ কাজ সারতে কম-বেশি গয়না কেনেন তাঁরা। তবে শুধু সেই কারণে বা সোনার দাম কমায় নয়, চড়া গরম থেকে কিছুটা স্বস্তিও ব্যবসা বাড়াতে পারে বলে ধারণা ব্যবসায়ীদের। শুভঙ্করের দাবি, আচমকা দাম বৃদ্ধির ধাক্কা থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেকে নভেম্বর বা ডিসেম্বরে বিয়ের কেনাকাটাও সেরে রাখছেন।
স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি সমর দে-র মতে, ‘‘ইতিমধ্যেই ভিড় বেড়েছে গয়নার বাজারে। আশা করছি, কাল আরও ভাল বিক্রিবাটা হবে। দামের ঊর্ধ্বগতি বহাল থাকার আশায় অনেকে বেশি সোনা দিয়ে গয়না গড়িয়ে লগ্নি করছেন। এই ঝোঁকটা এখন বাড়তে দেখছি।’’
পি সি চন্দ্র জুয়েলার্সের এমডি উদয় চন্দ্র বলেন, “আমরা তৈরি হয়ে বসে আছি। চড়া দামেও পয়লা বৈশাখের বিক্রি ভাল হয়েছে। পড়তি দামে অক্ষয় তৃতীয়ার বাজার নিশ্চয়ই আরও বেশি ব্যবসা দেবে। তবে সোনার দামে স্থিতিশীলতা আসা দরকার। তা ওঠানামা করলে ক্রেতা দ্বিধায় পড়েন।’’ বনগাঁর গয়নার দোকানের মালিক বিনয় সিংহ এবং বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগর পোদ্দারের দাবি, ছোট দোকানগুলিতেও পা রাখছেন বহু ক্রেতা। অনেক দিন পরে কারিগরদের মুখে হাসি ফুটেছে। তবে দাম বৃদ্ধির চিন্তা রয়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy