প্রতীকী ছবি
গত অর্থবর্ষের জন্য কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ) তহবিলে ৮.৫% সুদ দেওয়ার সুপারিশ আগেই করেছে তাদের কেন্দ্রীয় অছি পরিষদ। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর, দেওয়ালির আগে প্রায় ছ’কোটি গ্রাহকের পিএফ অ্যাকাউন্টে সেই সুদ জমা পড়তে পারে। সে জন্য তার আগেই ওই সুপারিশে সায় দেবে অর্থ মন্ত্রক। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) জমার সময়েই দেওয়া হতে পারে পিএফের সুদ। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করাচ্ছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের সুদ জমা পড়েছিল গত ডিসেম্বরে। অর্থাৎ, পরবর্তী অর্থবর্ষের ন’মাসের মাথায়। সংবাদমাধ্যমের খবর যদি ঠিক হয়, সে ক্ষেত্রে এ বার তা মিলবে সপ্তম মাসে। এতেও প্রশ্ন উঠছে, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সুদ পেতে এতটা সময় কেন লাগবে?
প্রত্যেক অর্থবর্ষে পিএফের সুদের ব্যাপারে প্রাথমিক সুপারিশ করে অছি পরিষদ। অর্থ মন্ত্রকের সায়ের পরে পিএফ কর্তৃপক্ষ তা কার্যকর করেন।
গত মার্চে অছি পরিষদের বৈঠকে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে পিএফের সুদ অপরিবর্তিত রাখার সুপারিশ করা হয়। অর্থাৎ, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের জন্য গ্রাহকেরা যে ৮.৫% হারে সুদ পেয়েছিলেন, এ বারও তা-ই পাবেন। তখনই উঠে এসেছিল আগের বছর সুদ জমা পড়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘ টালবাহানার স্মৃতি। গত বছর ৫ মার্চ তার আগের অর্থবর্ষের সুদের সুপারিশ করেছিল পরিষদ। কিন্তু তাতে সায় দিতেই দীর্ঘ সময় লাগায় অর্থ মন্ত্রক। তৈরি হয়েছিল সুদ কমার আশঙ্কাও। এর পরে সেপ্টেম্বরে পরিষদের বৈঠকে নজির-বিহীন ভাবে দু’কিস্তিতে সুদ মেটানোর সিদ্ধান্ত হয়। ৮.১৫% ঋণপত্রে লগ্নির আয় থেকে। ০.৩৫% শেয়ার বাজারে ইটিএফ-এর আয় থেকে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সুদ জমা পড়ে একলপ্তেই।
এআইইউটিইউসি-র সম্পাদক তথা অছি পরিষদের সদস্য দিলীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শ্রমমন্ত্রী বলেছিলেন, গত বারের মতো টালবাহানা এ বার হবে না। সুদও দেওয়া হবে এক বারে। সেই খরচের সংস্থান হবে পিএফের বাজেট থেকেই।’’ তবে পিএফের সুদ জমা পড়তে কেন এতটা দেরি হবে, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy