প্রতীকী ছবি
গত জানুয়ারির মাঝামাঝি যখন বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল ব্যারেলে ৬০ ডলারেরও বেশি, তখন কলকাতায় পেট্রল ও ডিজ়েল লিটারে ছাড়িয়েছিল যথাক্রমে ৭৮ ও ৭০ টাকা। সোমবার ফের শহরে দুই জ্বালানির দাম সেই সীমা ছাড়াল। কিন্তু এখন অশোধিত তেলের দর ৪০ ডলারেরও নীচে।
আজ, মঙ্গলবারও কলকাতায় পেট্রল-ডিজেল বেড়েছে যথাক্রমে ৪৫ ও ৫১ পয়সা। এই নিয়ে ১০ দিনে পেট্রল বাড়ল ৫.২৫ টাকা, ডিজ়েল ৫.২২ টাকা। যা দেখে সকলেরই প্রশ্ন, দাম নাগাড়ে এত বাড়ছে কেন? কেনই বা তা থামানোর চেষ্টা করছে না কেন্দ্র? বিশ্ব বাজারে তো এত দামি হয়নি অশোধিত তেল। দেশেও জ্বালানির চাহিদা বাড়ছে এখন। আমজনতার তোপ, করোনা সঙ্কটে মানসিক ও আর্থিক ভাবে কাহিল তাঁদের পকেটে যে এতে চাপ বাড়বে, তা ভাবা হচ্ছে না।
টুইটে ২০১৪ সালের ইউপিএ আমলের সঙ্গে এখন তেলের দামের (নয়াদিল্লির বাজারে) ফারাককে হাতিয়ার করে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। বলেছেন, শুল্ক চাপিয়ে দেশে তেলের দাম বাড়ানোয় ইন্ধন দিচ্ছে কেন্দ্র। লুটেরা সরকার তকমা দিয়ে তাঁর অভিযোগ, পুঁজিপতিরা সরকারের থেকে যে ‘উপহার’ পাচ্ছেন তার মাসুল দিচ্ছেন মধ্যবিত্ত ও গরিব।
বিজেপির দাবি, দাম বাড়লে হইচই হয়। কিন্তু কমলে হয় না। কিন্তু বিরোধীরা বলছেন, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই দেশে দাম বাড়ায় সংস্থাগুলি। কিন্তু অদ্ভূত ভাবে কমলে বলা হয়, দেশের বাজারে তার প্রভাব পড়তে সময় লাগে।
আরও পড়ুন: ফের বিপাকে অনিল অম্বানী, ১২০০ কোটি ঋণ উদ্ধারে ট্রাইবুনালে গেল এসবিআই
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy