রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পরিচালন নীতি ঘিরে মোদী সরকারের উদ্দেশে আক্রমণ শানালেন রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ, এই শ্রেণির ব্যাঙ্কের লভ্যাংশে (ডিভিডেন্ড) রাজকোষ ভরিয়ে তোলাই এখন কেন্দ্রের প্রধান উদ্দেশ্য। পরিষেবা চলে গিয়েছে পিছনের সারিতে। যৎসামান্য কর্মী নিয়ে বিপুল চাপের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে তাদের। কেন্দ্রের কাছে রাহুলের দাবি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে ‘প্রতারক বন্ধুদের’ তহবিল সরবরাহের সূত্র হিসেবে ব্যবহার করা বন্ধ হোক। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বক্তব্য অবশ্য ভিন্ন। তাঁর দাবি, আগে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি অনুৎপাদক সম্পদের (এনপিএ) ভারে ধুঁকছিল। এখন সেগুলি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। নিয়োগ হচ্ছে রোজগার মেলার মাধ্যমে।
বুধবার লোকসভার বিরোধী দলনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ব্যাঙ্ক অফিসারদের সংগঠন আইবক-এর প্রতিনিধিরা। তুলে ধরেন কাজের পরিবেশ সংক্রান্ত সমস্যার কথা। তার পরে রাহুলের বক্তব্য, ‘‘মানুষকে আর্থিক পরিষেবা দেওয়াই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের প্রধান দায়িত্ব। কিন্তু সরকার সেগুলিকে ব্যবহার করে চলেছে শুধুমাত্র বেসরকারি ক্ষেত্র, ধনী এবং ক্ষমতাশালীদের পুঁজি সরবরাহের মাধ্যম হিসেবে।... জালিয়াতিতে জড়িত বন্ধুদের আর্থিক তহবিলের অসীম উৎস হিসেবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে ব্যবহার করা বন্ধ করুক মোদী সরকার। সরকারের হাতে ডিভিডেন্ড চেক তুলে দেওয়া ছাড়াও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আরও কিছু দায়িত্ব আছে।’’ এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদের আরও বক্তব্য, কম কর্মী এবং বিষাক্ত কাজের পরিবেশের মধ্যে তা কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠছে। মহিলা কর্মীদের সমানাধিকারের অভাব রয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)