ডলারের সাপেক্ষে ফের সর্বনিম্ন টাকার দাম। মঙ্গলবার ১৩ পয়সা উঠে এক ডলার আবার পৌঁছল ৮৮.৮১ টাকায়।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, এক দিকে আমেরিকার মুদ্রা চাঙ্গা হয়েছে। অন্য দিকে দুর্বল হয়েছে ভারতের শেয়ার বাজার। আর এই দুয়ের প্রভাবে দুর্বল হয়েছে ভারতীয় মুদ্রা। ডলার এগিয়ে চলেছে ৮৯ টাকার দিকে। সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে, বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি এ দেশের বাজারে হাতের শেয়ার বিক্রি করেছে এ দিন। তাদের মুনাফা ডলারে রূপান্তরিত করার হিড়িকও বিদেশি মুদ্রার চাহিদা বাড়ায় এবং তার দামকে ঠেলে তোলে। সূত্রের খবর, এ দিন টাকার দাম হয়তো আরও নীচে নামত। নামেনি, কারণ রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক পতন আটকাতে হস্তক্ষেপ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। টাকাকে কিছুটা বাঁচিয়েছে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের কমে যাওয়া দামও। এ দিন ব্রেন্ট ক্রুড নেমে গিয়েছে ব্যারেল পিছু ৬১.৯৯ ডলারে। আর এক ধরনের অশোধিত ডব্লিউটিআই ক্রুডের ব্যারেল বেশ কিছু দিন পরে ফের নেমে গিয়েছে ৫৮ ডলারের ঘরে। ফলে তেল কিনতে ডলারের দরকার পড়েছে কম।
বাজার বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, ভারতের উপরে আমেরিকার ৫০% আমদানি শুল্কই লগ্নিকারীদের আস্থায় ধাক্কা দিচ্ছে। আগামী দিনে দু’দেশের বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত হলে বিদেশি লগ্নি ফেরার পাশাপাশি ভারতীয় মুদ্রাও মাথা তুলতে পারে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)