গত জুলাই-সেপ্টেম্বরে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধির হার প্রত্যাশা ছাপিয়ে ৮.২ শতাংশে পৌঁছে যাওয়ার পরেই গোটা অর্থবর্ষের অনুমান বাড়াতে শুরু করে মূল্যায়ন এবং আর্থিক সংস্থাগুলি। সরকারের তরফেও ৭% বা তার বেশি হারে আর্থিক বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার একই বার্তা দিল মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ রেটিংস। সেপ্টেম্বরে তাদের পূর্বাভাস ছিল ৬.৯%। ডিসেম্বরের বিশ্ব অর্থনীতি সংক্রান্ত পর্যালোচনায় তা বাড়িয়ে ৭.৪% করেছে সংস্থা।
ফিচের দাবি, কেন্দ্র জিএসটি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে সাধারণ ক্রেতার খরচ এবং আস্থা, দু’টিই বেড়েছে। তার উপর এপ্রিল-জুনের ৭.৮% আর্থিক বৃদ্ধিকে ছাপিয়ে পরের তিন মাসের হার দাঁড়িয়েছে ৮.২%। তাই গোটা বছরের অনুমানও বাড়ানো হল। উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রায় ৩৭৫টি পণ্যে জিএসটির হার কমে গিয়েছে।
দেশের খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার তলানিতে ঠেকায় রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে আরও এক বার সুদ কমানোর পথ খুলেছে বলেও মনে করছে ফিচ। রিপোর্টে বলেছে, ১০০ বেসিস পয়েন্টের পরে ডিসেম্বরের ঋণনীতি ঘোষণায় আরও কিছুটা কমানো হতে পারে সুদের হার। সংস্থার দাবি, ক্রেতাদের বাজারে কেনাকাটা করার খরচই এ বছর আর্থিক বৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি। তাতে জ্বালানি জোগাবে পাকাপোক্ত প্রকৃত আয়, ক্রেতার মাথা তোলা আস্থা এবং সম্প্রতি জিএসটি সংস্কার কার্যকর হওয়ার প্রভাব। তবে পরের অর্থবর্ষে (২০২৬-২৭) বৃদ্ধির গতি কিছুটা শ্লথ হয়ে ৬.৭ শতাংশে নামতে পারে বলেও আশঙ্কা তাদের। সেই সঙ্গে দাবি, বেসরকারি সংস্থার লগ্নিতে গতি আসতে আসতে গড়িয়ে যেতে পারে পরের অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধ (অক্টোবর-মার্চ)।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)