ঋণ খেলাপের অঙ্ক বিপুল, এমন ৫৫টি অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ছ’মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। খুঁজতে বলল সমাধান। জানাল, নইলে নতুন দেউলিয়া বিধির আওতায় আনা হবে তাদের।
একই সঙ্গে, অনুৎপাদক সম্পদে রাশ টানতে গড়া তত্ত্ববধানকারী কমিটি (ওভারসাইট কমিটি) সম্প্রসারণের কথাও জানিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। সেখানে যুক্ত করা হচ্ছে তিন নতুন সদস্যকে। পাঁচ সদস্যের ওই প্যানেলের নেতৃত্ব দেবেন প্রাক্তন মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনার প্রদীপ কুমার।
অন্তত ৮ লক্ষ কোটি টাকার অনুৎপাদক সম্পদের বোঝা নিয়ে খাবি খাচ্ছে দেশের ব্যাঙ্কিং শিল্প। এর মধ্যে কমপক্ষে ৬ লক্ষ কোটি রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির খাতায়। এই পাহাড়প্রমাণ সমস্যায় রাশ টানতে হালে কোমর বেঁধে নেমেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এ মাসের গোড়াতেই নতুন দেউলিয়া বিধি প্রয়োগের জন্য ১২টি অ্যাকাউন্টকে চিহ্নিত করেছে তারা। যাদের প্রত্যেকের খেলাপি ঋণের অঙ্ক অন্তত ৫,০০০ কোটি। সম্মিলিত ভাবে মোট অনুৎপাদক সম্পদের এক-চতুর্থাংশই তৈরি হয়েছে তাদের দৌলতে। তারপরে এ বার জানা গেল ৫৫টি অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করার কথা।
শীর্ষ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, এই ৫৫টি অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করা হবে, দ্রুত সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিক বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি। সমাধান খুঁজে বার করুক ছ’মাসের মধ্যে। নইলে সেগুলি খতিয়ে দেখবে খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্কই। পদক্ষেপ করবে সেগুলির ক্ষেত্রে নতুন দেউলিয়া বিধি কার্যকর করার জন্য। শীর্ষ ব্যাঙ্কের যে অন্তর্বর্তী উপদেষ্টা কমিটি প্রথমে ১২টি অ্যাকাউন্টের নাম বলেছিল, তারাই এই ৫৫টিকে চিহ্নিত করেছে।
কোনও সংস্থার ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা আছে, না কি তা দ্রুত গুটিয়ে ফেলাই বাস্তবসম্মত— বিআইএফআর উঠে যাওয়ার পরে এখন তা ঠিক হয় ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনালে (এনসিএলটি)। সেখানে যাওয়ার পরে বিশেষজ্ঞ (ইনসলভেন্সি প্র্যাকটিশনার) নিয়োগের জন্য ৩০ দিন সময় পান ঋণগ্রহীতা। পুরো বিষয়টি নিয়ে যাবতীয় বিচার-বিবেচনার জন্য সাধারণত সময় মেলে ১৮০ দিন।
সংস্থাকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর সম্ভাবনা থাকলে, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হয়। সংস্থা গুটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে, নিয়োগ করতে হয় লিকুইডেটর। সম্পদ বেচে ধার চোকানোর প্রক্রিয়া দেখেন যিনি। ঋণ খেলাপের সমস্যা নিকেশে এই দেউলিয়া বিধিকেই অস্ত্র করছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy