Advertisement
E-Paper

Real Estate: ছাড়ের সুযোগে সাড়া, রাজ্যে বাড়ল ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন

করোনা আর পাঁচটা শিল্পের মতোই আঘাত হেনেছে আবাসনে। বিক্রি না-হয়ে পড়ে থাকা ফ্ল্যাটের সংখ্যা বেড়েছে হুহু করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২১ ০৭:৪০
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

ফ্ল্যাট-বাড়ির চাহিদা বাড়াতে মহারাষ্ট্রের মতো কয়েকটি রাজ্য স্বল্প মেয়াদে সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন বা নথিভুক্তির ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটি-তে ছাড় দিয়ে ভাল সাড়া পেয়েছিল। দেখা গিয়েছিল, সেই খাতে খরচ কমায় অনেক ক্রেতাই সুযোগ নিতে উদ্যোগী হন। কিছুটা দেরিতে হলেও এ বারের বাজেটে নির্দিষ্ট কিছু দিনের জন্য সেই সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে এই রাজ্যও। আবাসন ক্ষেত্রের উপদেষ্টা সংস্থা নাইট ফ্রাঙ্কের দাবি, তাতে সুফল মিলেছে। বৃহত্তর কলকাতায় (কলকাতা মেট্রোপলিটন এলাকা) জুলাই-সেপ্টেম্বরের হিসাবে গত বছরের তুলনায় এ বার ফ্ল্যাটের নথিভুক্তি বেড়েছে প্রায় ১২২%। শুধু সেপ্টেম্বরের হিসেবে বৃদ্ধি প্রায় ৮০%।

করোনা আর পাঁচটা শিল্পের মতোই আঘাত হেনেছে আবাসনে। বিক্রি না-হয়ে পড়ে থাকা ফ্ল্যাটের সংখ্যা বেড়েছে হুহু করে। বহু মানুষের আয়ে কোপ পড়ায় প্রয়োজন থাকলেও ফ্ল্যাট-বাড়ি কেনার কথা সে ভাবে ভাবতে পারেননি অনেকে। যদিও গৃহঋণের সুদ অনেক কমেছে। বাড়ি থেকে কাজের পরিধি বাড়ার ফলেও অনেক ক্ষেত্রে খোঁজ পড়েছে নতুন থাকার জায়গার। কিন্তু সেই চাহিদা বাস্তবায়িত হয়ে আবাসন ক্ষেত্রের চাকা ঘোরাতে পারেনি। এই অবস্থায় মহারাষ্ট্র প্রথম স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় দেওয়ার কথা বলে। রেজিস্ট্রেশন খরচ এক ধাক্কায় অনেকটা কমায় চাহিদায় গতি আসে। ফ্ল্যাট কিনেও রেজিস্ট্রেশন করাচ্ছিলেন না, এমন ক্রেতারা তড়িঘড়ি সেই বিষয়টি চুকিয়ে ফেলেন।

গত জুলাইয়ের বাজেটে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও ঘোষণা করে, আবাসন ক্ষেত্রে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশন করলে স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২% ছাড় মিলবে। এক কোটি টাকার কম এবং তার বেশি, ফ্ল্যাটের দামের এই দুই স্তর অনুযায়ী কলকাতা ও হাওড়া পুরসভা ছাড়াও অন্যান্য পুরসভা এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক এলাকায় আলাদা আলাদা হার চালু ছিল। সীমিত সময়ের জন্য প্রত্যেক ক্ষেত্রেই তা ২% করে কমেছে। এ ছাড়া কোনও এলাকার সম্পত্তির সরকারি দামও (সার্কল রেট) ১০% কমেছে।

নাইট ফ্র্যাঙ্কের দাবি, এই সব সুযোগের হাত ধরে ভাল রকম সাড়া মিলেছে। সংস্থাটির কলকাতা শাখার কর্তা স্বপন দত্ত বলেন, ‘‘চাহিদা বাড়াতে একেবারে সঠিক সময়ে পদক্ষেপ করেছে রাজ্য। যাঁরা অপেক্ষা করছিলেন, তাঁরা এখন দ্রুত ফ্ল্যাট কেনার সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশা।’’

নাইট ফ্র্যাঙ্কের হিসাব অনুযায়ী, গত জুলাই-সেপ্টেম্বরে আগের বছরের তুলনায় একটু বড় ফ্ল্যাটের দিকে ঝুঁকেছেন অনেকে। সে ক্ষেত্রে দাম বেশি পড়লেও কর ছাড়ের সুযোগ থাকায় বাড়তি দিতে এখন পিছপা নন অনেকে। ১০০০ বর্গ ফুট বা তার বেশি বড় ফ্ল্যাটের নথিভুক্তি বেড়েছে সর্বোচ্চ, প্রায় ৪০৩%। ৫০০-১০০০ বর্গ ফুটের বিক্রি বেড়েছে ৩২০%। আর এলাকা ভিত্তিক চাহিদা বেশি দক্ষিণ (৩২%) ও উত্তর কলকাতায় (৩০%)।

ওই ঘোষণার পরে জুলাইতে পুরো মাস ছাড়ের সুযোগ মেলেনি। ফলে অগস্টে সেই সুবিধা নিতে ঝাঁপিয়েছেন বেশি মানুষ। গত মাসে অবশ্য ১১ দিন সংস্কারবশত অনেকে এই কেনাবেচা বন্ধ রাখায় গতি সামান্য কমেছিল। কিন্তু সার্বিক ভাবে সাড়া প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। সংস্থাটির আশা, ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই ছাড় দিলে আবাসনের বিক্রি আরও বাড়বে। বাঁচবে কলকাতার আবাসন শিল্প। যদিও রাজ্যের তরফে এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও ইঙ্গিত নেই।

Real Estate Heavy Discounts
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy