প্রতীকী ছবি।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্যে ভোট পর্বের মধ্যে তেলের দাম সামান্য কমলেও, স্বস্তি পায়নি মানুষ। কারণ ভোট মিটলে ফের রকেট গতিতে দাম বাড়বে কি না সেই চিন্তা ছিলই। আশঙ্কাকে সত্যি করে রবিবার ভোট গণনা সাঙ্গ হওয়ার পরেই মঙ্গল থেকে আজ, শুক্রবার পর্যন্ত টানা চার দিন নাগাড়ে বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের দাম। শুধু তা-ই নয়, প্রতি দিন জ্বালানি দু’টির দাম বৃদ্ধির হারও আগের দিনের থেকে বেশি। শুক্রবার কলকাতায় ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে লিটার পিছু ৮৪.৫৭ টাকায় উঠে নতুন রেকর্ড গড়েছে ডিজেল। আগের দিনের থেকে ৩১ পয়সা বেশি। পেট্রল আরও ২৭ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৯১.৪১ টাকা। তেলের এই দাম বৃদ্ধি নিয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের মোদী সরকারকে ফের বিঁধেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। ফের উৎপাদন শুল্ক কমানোর দাবি জোরালো হয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে।
মোদী সরকার অবশ্য বিষয়টি নিয়ে এখনও চুপ। তবে এ দিন রাহুলের টুইট-খোঁচা, ‘‘ভোট মিটেছে। আর (সরকারের) ফের লুঠ (জনগণের পকেট) শুরু হয়ে গিয়েছে।’’ কেন্দ্র এর আগে তেলের দাম বৃদ্ধির জন্য বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দরকে দায়ী করলেও, রাহুল এবং অন্যান্য বিরোধী নেতারা বারবার আঙুল তুলছেন তেলে বিপুল উৎপাদন শুল্কের দিকে। যার সাহায্যে আমজনতাকে সঙ্কটে ফেলে রাজকোষ ভরানোর অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
করোনা সঙ্কটের মধ্যেই গত বছর থেকে দেশে বিপুল বেড়েছে তেলের দর। খরচ অনেকটা বাড়ায় নাজেহাল পরিবহণ ক্ষেত্র। যার জেরে পণ্য পরিবহণের খরচ বাড়ায় চড়েছে তার দামও। এই অবস্থায় এ দিনই উপদেষ্টা সংস্থা উড ম্যাকেনজ়ি জানিয়েছে, করোনার সংক্রমণ এবং বিভিন্ন রাজ্যে আংশিক লকডাউন বা বিধিনিষেধের জেরে ইতিমধ্যেই এপ্রিলে (তা-ও পুরো হিসেব আসেনি) তেলের চাহিদা প্রায় ২০%-২৫% কমে গিয়েছে। সংক্রমণ ও বিধিনিষেধ যে ভাবে বাড়ছে, তাতে আগামী দিনে তা আরও কিছুটা কমতে পারে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, তার উপরে পেট্রল-ডিজেলের এতখানি চড়া দর চাহিদাকে আরও বেশি টেনে নামাবে। তেল মন্ত্রকের তথ্যই বলেছে, গত বছর এপ্রিলে পেট্রলের চাহিদা প্রায় ৬০.৫% কমে গিয়েছিল। ডিজেল ধাক্কা খেয়েছিল ৫৫.৬%। তবে এ বার দেশ জুড়ে পূর্ণ লকডাউন না হওয়ায় চাহিদা অতটা নামবে না বলেই মনে করছে ম্যাকেনজ়ি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy