বিদায় নিতে পারে ১২৭ বছরের ঐতিহ্যবাহী রেজিস্ট্রি পোস্ট। হয়তো বা এ বছরেই। ৭ মে ডাক বিভাগের জারি করা নির্দেশিকায় সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট। সেখানে এটি তুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছে তারা। বলেছে, এই পরিষেবা স্পিড পোস্টের সঙ্গে মিশে যাক। কারও কাছে রেজিস্ট্রি পোস্ট পাঠাতে হলে স্পিড পোস্ট ব্যবহার করা যাবে। এ নিয়ে ২৮ মে-র মধ্যে সব পক্ষের মতামত চেয়েছে ডাক বিভাগ। আইন দফতরের পরামর্শও চাওয়া হয়েছে। মাথায় রাখা হয়েছে আইন-আদালতের প্রয়োজনও। যদিও তথ্য বলছে, ডাক বিভাগের কলকাতা অঞ্চলেই প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকার রেজিস্ট্রি পোস্ট হয়। ফলে তা বন্ধ হলে অসুবিধা হবে কি না, উঠেছে প্রশ্ন। দেশে ১৮৯৮-র ১ জুলাই পরিষেবাটি চালু হয়েছিল।
সূত্রের খবর, সব পক্ষের মতামত পাওয়ার পরে জুলাই-অগস্ট নাগাদ রেজিস্ট্রি পোস্ট বন্ধ হতে পারে। ডাক বিভাগের নির্দেশিকায় পোস্ট অফিস রুলস, ২০২৪-এর ৪ নম্বর ধারা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ডিরেক্টর জেনারাল প্রয়োজন মতো সব পক্ষের মত নিয়ে পরিষেবা চালু বা বন্ধ করতে পারেন।
শতাব্দীপ্রাচীন রেজিস্ট্রি পোস্ট বন্ধের তৎপরতায় ডাক কর্মীদের একাংশের মধ্যে আলোড়ন উঠেছে। তাঁদের মতে, এতে ন্যূনতম ২২ টাকা লাগে। কিন্তু দুরত্ব অনুযায়ী স্পিড পোস্টে লাগে ন্যূনতম ৪০-৪১ টাকা। তাই রেজিস্ট্রি পোস্ট না থাকলে চিঠি বা নথি পাঠাতে খরচ বাড়বে প্রায় দ্বিগুণ। তার উপর রেজিস্ট্রি পোস্টে প্রাপকের হাতে চিঠি বা নথি পৌঁছয়। কিন্তু স্পিড পোস্টে বাড়ির যে কেউ তা নিতে পারেন। ফলে আদালত বা মামলা অথবা সুরক্ষিত নথি পাঠানোয় ঝুঁকি থাকবে। ডাক বিভাগের অবশ্য বক্তব্য, এখন রেজিস্ট্রি পোস্ট হয় খুব কম। তাই দুই পরিষেবাকে যুক্ত করে স্পিড পোস্ট চালু রাখা হচ্ছে। যা অত্যাধুনিক ও দ্রুতগতির। খরচও বেশি নয়।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)