বহুবার সময়সীমা দিয়েও তার মধ্যে রাজ্যে পাইপে রান্নার গ্যাস সরবরাহ করা যায়নি। এর আগে হুগলি ও নদিয়ার একাধিক এলাকায় প্রকল্প শুরুর পরিকল্পনা থাকলেও প্রসাশনিক দীর্ঘসূত্রিতায় তা হয়নি। সম্ভবত এ বার অপেক্ষা শেষ হতে চলেছে। রাজ্যের মধ্যে প্রথম পাইপে রান্নার গ্যাস পেতে চলেছেন নদিয়ার কল্যাণী পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি সূত্রে খবর, সব ঠিক থাকলে মাস তিনেকে এই পরিষেবা চালু হবে। উল্লেখ্য, কলকাতা এবং শহরতলিতে পাইপে রান্নার গ্যাস দেওয়ার বরাত পেয়েছে গেল ও রাজ্য সরকারের যৌথ সংস্থা বেঙ্গল গ্যাস।
সংস্থার সিইও অনুপম মুখোপাধ্যায় বলেন, “আশা, এ বার লক্ষ্যের মধ্যে পরিষেবা চালু করতে পারব। কল্যাণীর বহু বাড়িতে লাইন পৌঁছেছে। সেখানে যে মাদার গ্যাস স্টেশন তৈরি হচ্ছিল, তার কাজ সম্পূর্ণ। সামান্য যে কাজ বাকি, তা এক-দু’মাসে শেষ হলেই গ্যাস সরবরাহ শুরু করা যাবে।’’
জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহেই অন্য কাজে কলকাতা এসেছিলেন তেল ও গ্যাস মন্ত্রকের এক যুগ্মসচিব। তাঁকে পাইপে গ্যাস প্রকল্পের অগ্রগতি ও চালুর কথা জানানো হয়েছে। তাই সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, পুজোর আগেই পরিষেবা চালু হবে। অনুপম জানান, কল্যাণী ছাড়াও শ্যামনগর ও ব্যারাকপুরে মাদার সিএনজি স্টেশন তৈরি করা হবে। জমি দেখা চূড়ান্ত।
তবে প্রশাসনিক জটিলতায় কাজ শেষ করা না যাওয়ায় হুগলিতে কবে পরিষেবা চালু হবে, তা স্পষ্ট জানাতে পারেননি অনুপম। কিন্তু কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে বরাবর লাইন পাতায় জট খুলেছে। কল্যাণী থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত লাইন পাতা হচ্ছে। তাঁর আশা, অবস্থা ইতিবাচক হলে ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যারাকপুর ও বারাসত পর্যন্ত বাড়িতে গ্যাস পৌঁছনো যাবে।
একই সঙ্গে গাড়িতে এর ব্যবহার বাড়াতে পুজোর আগে কলকাতা ও শহরতলিতে ১৫টি নতুন সিএনজি স্টেশন তৈরি করবে সংস্থা। এখন আছে ১৬টি। পাশাপাশি, নীলগঞ্জ, বেলঘরিয়া, উল্টোডাঙা ১৫ নম্বর, হাওড়া ও টালিগঞ্জে সরকারি বাস ডিপোতে সিএনজি স্টেশন করা হচ্ছে। ছ’মাসে তা তৈরি হবে বলে আশা।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)