সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে দেশে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ৪ শতাংশের সহনসীমার নীচে নামতে পারে বলে ইঙ্গিত দিল সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সমীক্ষা। জানাল, গত কয়েক মাসে শীতের আনাজ বাজারে আসায় তার দাম কমেছে। যার হাত ধরে ছ’মাসে এই প্রথম মূল্যবৃদ্ধিকে শীর্ষ ব্যাঙ্ক লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বেঁধে রাখতে পারবে বলে ধারণা। সেটা করা গেলে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক ফের সুদ কমাতে পারে। বুধবার খুচরো মূল্যবৃদ্ধির পরিসংখ্যান প্রকাশ হওয়ার কথা।
অন্য দিকে, আজ উপদেষ্টা ক্রিসিলের সমীক্ষাতে দাবি, জানুয়ারির চেয়ে গত মাসে আমিষ এবং নিরামিষ, দু’ধরনের রান্নার খরচই ৫% কমেছে। বছরের নিরিখে ধরলে আমিষ ৬% বাড়লেও, নিরামিষের খরচ কমই। কারণ আলু, পেঁয়াজ, টোম্যাটোর মতো আনাজের দর কমেছে।
গত বছর জোগানে ধাক্কা, চড়া গরম ও অনিয়মিত বৃষ্টিতে মার খেয়েছিল কৃষি উৎপাদন। ফলে মাত্রা ছাড়ায় খাদ্যপণ্যের দাম। তা সার্বিক খুচরো মূল্যবৃদ্ধিকে ঠেলে তোলে। ৪-১০ মার্চ ৪৫ জন অর্থনীতিবিদকে নিয়ে করা রয়টার্সের সমীক্ষা জানাচ্ছে,
অর্তনীতিবিদদের প্রায় ৭০ শতাংশের ধারণা, গত মাসে মূল্যবৃদ্ধি নামবে ৪ শতাংশের নীচে। তা হতে পারে ৩.৯৮%। জানুয়ারিতে ছিল ৪.৩১%।
আইডিবিআই ফার্স্ট ব্যাঙ্কের মুখ্য অর্থনীতিবিদ গৌর সেনগুপ্তের মতে, আনাজের দাম বৃদ্ধির গতি কমার লক্ষণ স্পষ্ট। খাদ্যশস্য, ডালের মতো পণ্যের সস্তা হওয়াও স্বস্তি দিচ্ছে। এটা চললে এপ্রিলের ঋণনীতিতে আরবিআই আরও সুদ কমাতে পারে। প্রায় পাঁচ বছর বাদে গত মাসে ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে তারা। তবে গরমে ফের আনাজের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকে।
সংবাদ সংস্থা
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)