অলাভজনক সংস্থা গুটিয়ে ভবিষ্যতে চাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন সংস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলাই দেউলিয়া আইনের প্রধান লক্ষ্য বলে ফের স্পষ্ট করলেন দেউলিয়া বিধি পর্ষদের চেয়ারপার্সন এম এস সাহু। তাঁর মতে, এই আইন প্রয়োগের সঙ্গে যুক্ত কোনও পক্ষের অযোগ্যতায় উল্টোটা ঘটলে, তা হবে অত্যন্ত বিপজ্জনক।
মার্চে সাহু বলেছিলেন, দেউলিয়া বিধির আওতায় খেলাপি ঋণ আদায় করা যায় ঠিকই। তবে আসল লক্ষ্য, খেলাপি সংস্থাগুলির পুনরুজ্জীবনের ব্যবস্থা করা। যাতে ঘুরে দাঁড়ানোর পরে তারা বকেয়া মেটাতে পারে। শনিবার তিনি বলেন, সংস্থা ভুল করলে তাদের এই আইনে তা শুধরে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত। তাঁর মতে, কোন সংস্থা ঘুরে দাঁড় করানো যাবে, তা বোঝার নির্দিষ্ট ফর্মুলা নেই। সেটা নির্ভর করে কে দেখছে তার উপরে।
জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনালে (এনসিএলটি) অনেক মামলাতেই ঋণদাতা ও অন্য পাওনাদারদের প্রাপ্য নিয়ে বিরোধ হয়েছে। এনসিএলটির আপিল আদালতের চেয়ারপার্সন বিচারপতি এস জে মুখোপাধ্যায়ের মতে, শুধু ব্যাঙ্ক নয়, দেখতে হবে সরবরাহকারী-সহ অন্যান্য পাওনাদারও বকেয়া পায়। সাহুর দাবি, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত শেষ হওয়া মামলায় আর্থিক ও অন্য পাওনাদারেরা গড়ে দাবি করা টাকার ৪৮% ফেরত পেয়েছে। ওই সব ক্ষেত্রে সংস্থা গোটালে যা মিলত, তার ১৯৫% পেয়েছে পাওনাদারেরা।
সাহু জানান, এখন এনসিএলটিতে দেউলিয়া আইনে প্রায় ৩৮০টি সংস্থার মামলা চলছে। যাদের ৮০% রুগ্ণ অবস্থায় বিআইএফআরে ছিল বা পুরো বন্ধ ছিল। ফলে ওই সব সংস্থা বিক্রি করে তেমন অর্থ পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে যারা দেউলিয়া আইনে সংস্থা কিনতে চায়, তাদের কাছে সেই সংস্থা সম্পর্কে ঠিক তথ্য দেওয়া ঋণদাতা কমিটির দায়িত্ব বলে তাঁর মত।
এ দিকে, এনসিএলটিতে যাওয়ার ২৭০ দিনের মধ্যে মামলার ফয়সলা যে সম্ভব হচ্ছে না, তা মেনে নিয়েছেন ট্রাইবুনালের প্রেসিডেন্ট ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এম এম কুমার। তিনি বলেন, বিচার পরিকাঠামো এখনও তৈরি নয়। কিন্তু তাও প্রায় ৩০০ দিনের মধ্যে রায় দেওয়া হচ্ছে বলে তাঁর দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy