গত সপ্তাহে মোদী সরকারের তরফে আশা প্রকাশ করে বলা হয়েছিল, চলতি উৎসবের মরসুমে দেশে মোট কেনাকাটার অঙ্ক পেরোতে পারে ৭ লক্ষ কোটি টাকার গণ্ডি। মঙ্গলবার ব্যবসায়ীদের সর্বভারতীয় সংগঠন সিএআইটি দাবি করল, শুধু দীপাবলিতেই খুচরো ব্যবসা গত বছরের থেকে ৪.২৫ লক্ষ কোটি টাকা থেকে ২৫% বেড়ে হয়েছে ৬.০৫ লক্ষ কোটি টাকা। যা নজিরবিহীন। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, পুরো উৎসবের মরসুম ধরলে ব্যবসা হবে অনেকটাই বেশি। কলকাতাতেও তা গত বছরের তুলনায় বেশ খানিকটা বেড়েছে বলে মত স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলের।
সংগঠনের সম্পাদক তথা সাংসদ প্রবীণ খণ্ডেলওয়ালের মতে, আমেরিকা চড়া শুল্ক চাপানোর পরে মোদী সরকার সাধারণ মানুষকে দেশীয় পণ্য কেনার ডাক দেয়। তাই এ বার দেশীয় পণ্য বিকিয়েছে অনেক বেশি। মূলত তার হাত ধরে দীপাবলির ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠেছে। ৫.৪ লক্ষ কোটি টাকার পণ্য কেনাবেচা হয়েছে। পরিষেবা ক্ষেত্রে লেনদেন হয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকার। তবে প্রবীণ-সহ সকলেরই দাবি, বহু জিনিসে জিএসটির হার কমে যাওয়াও বিক্রি এতটা বৃদ্ধির কারণ।
সংগঠনের তথ্যে প্রকাশ, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিক্রি সর্বাধিক, মোট বিক্রির ১২%। সোনা-রুপোর ক্ষেত্রে তা ১০%। ফোন, পাওয়ার ব্যাঙ্ক, ইয়ারফোন, স্পিকারের মতো বৈদ্যুতিন পণ্যের ৮%। পোশাক, উপহার এবং টিভি, ফ্রিজ়, এসি-র মতো দীর্ঘমেয়াদি বৈদ্যুতিন পণ্যে ক্ষেত্রে প্রায় ৭%। সূত্রের দাবি, কলকাতায় এ বছর দীপাবলিতে বিক্রির অঙ্ক ছুঁয়েছে ১৭-১৮ হাজার কোটি টাকা। বড়বাজার, নিউমার্কেট, খিদিরপুরের ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, দুর্গাপুজোর পরে দিওয়ালিতেও ব্যবসা ভাল বাড়ল অনেক দিন পরে। যার প্রধান কারণ জিএসটির হার কমানো। সিএআইটি-র সমীক্ষাতেও ৭২% ব্যবসায়ী বলেছেন, ব্যবসা বিপুল বেড়েছে জিএসটির কারণেই। যা প্রায় ৫০ লক্ষ অস্থায়ী কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রবীণ জানান, এই ব্যবসার ২৮% এসেছে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শহর থেকে।
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইউনিকমার্সের এক সমীক্ষা বলছে, অনলাইনে ব্যবসা বেড়েছে ২৪%। এর মধ্যে দ্রুত পণ্য পৌঁছনোর পরিষেবা বৃদ্ধি ১২০%।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)