টানা পড়ে চলেছে শেয়ার বাজার। বৃহস্পতিবার ৭১ পয়েন্ট নামল সেনসেক্স। হল ২৬,২২৭.৬২। এই নিয়ে টানা চার দিন পড়ে বিএসই-র সূচকটি নেমে এল গত ছ’মাসে সর্বনিম্ন অঙ্কে। অন্য দিকে ৮,১০০ পয়েন্টের মাত্রা ধরে রাখতে পারেনি ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের নিফ্টিও। সূচকটি ৩১.৬৫ পড়ে হয়েছে ৮,০৭৯.৯৫ পয়েন্ট।
তবে চার দিন টানা নামার পরে বৃহস্পতিবার সামান্য হলেও বেড়েছে টাকার দর। বুধবারের তুলনায় ডলারের সাপেক্ষে টাকা বেড়েছে ১২ পয়সা। দিনের শেষে এক ডলার দাঁড়িয়েছে ৬৭.৮২ টাকায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বড় অঙ্কের নোট বাতিলের কারণে অর্থনীতির উপরে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে, এই আশঙ্কা থেকেই এ দিন শেয়ার বিক্রি করতে থাকেন লগ্নিকারীরা। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। ফলে সে দিকে তাকিয়েও হাত গুটিয়ে রেখেছেন তাঁরা। এর সঙ্গেই সংস্থাগুলির আর্থিক ফলাফল নিয়ে চিন্তা রয়েছে বাজারে। বুধবারই চলতি অর্থবর্ষের জন্য দেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে সংশ্লিষ্ট শিল্পের সংগঠন ন্যাসকম। এর জেরে এ দিন বিশেষ করে পড়েছে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির শেয়ার দর।
পাশাপাশি, বাজার সূত্রে খবর বুধবার বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি ভারতের বাজারে প্রায় ১,৯৫৭.০৪ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে। এরও প্রভাব পড়েছে সূচকের উপরে।
এ দিকে, বৃহস্পতিবার মার্কিন মুলুকের অর্থনীতি নিয়ে কংগ্রেসের সামনে শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ার জেনেট ইয়েলেনের বক্তব্য পেশের আগেও কিছুটা সতর্ক ছিলেন লগ্নিকারীরা। গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ভোটে জেতার পরে এ দিনই সন্ধ্যেবেলায় প্রথম মুখ খুলেছেন ইয়েলেন। দেশের অর্থনীতি সঠিক পথেই এগোচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, আগামী দিনে মূল্যবৃদ্ধির হার ফেড রিজার্ভের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রার (২%) কাছাকাছি পৌঁছবে। এ সবের জেরে সুদের হার বাড়ানোর জন্য খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ইয়েলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাঁর এই বক্তব্যের প্রভাব বাজারে পড়বে আগামীকাল, শুক্রবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy