টানা পড়ে চলেছে শেয়ার বাজার। সোমবারও সেনসেক্স নেমেছে ১১৫ পয়েন্ট। এই নিয়ে চার দিন। এ দিন তা দাঁড়িয়েছে ২৬,৩৭৪.৭০ অঙ্কে। নিফ্টিও ৩৫ পয়েন্ট পড়ে থামে ৮,১০৪.৩৫ পয়েন্টে। আর এর জেরে দু’সপ্তাহে সর্বনিম্ন অঙ্কে পৌঁছেছে বাজার।
এ দিন ডলারে টাকার দামও ১১ পয়সা কমেছে। বাজার বন্ধের সময়ে এক ডলার দাঁড়িয়েছে ৬৭.৮৭ টাকা।
শেয়ার বাজারের পতনে যে-সব কারণ ইন্ধন জুগিয়েছে, সেগুলি হল:
• ড্রোন ফেরানোকে কেন্দ্র করে মার্কিন-চিন সম্পর্কে অবনতির আশঙ্কা। সম্প্রতি চিনের কাছে নিজেদের ড্রোন ফেরাতে আর্জি জানিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। কিন্তু পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বরং চিনের বিরুদ্ধেই ওই ড্রোন চুরির অভিযোগ এনে, সেটি আমেরিকার কাছে রেখে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন। সেই মন্তব্য খুব একটা ভাল ভাবে নেয়নি চিন। এর জেরে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। সে কারণে পড়েছে মার্কিন শেয়ার বাজার।
•ওই দু’দেশের সম্পর্ক কোন দিকে গড়ায় সে দিকে তাকিয়ে সতর্ক ছিলেন এশিয়া ও ইউরোপের লগ্নিকারীরা। ফলে তাঁরা শেয়ার কেনা থেকে বিরত থেকেছেন।
• গত সপ্তাহেই আমেরিকায় সুদ বাড়ানোর কথা জানিয়েছে ফে়ডারেল রিজার্ভ। ফলে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি ভারতের বাজারে শেয়ার বেচে লগ্নি সরানোর পথে হেঁটেছে।
•ওপেকের বৈঠকের পরে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলি নিজেদের উত্তোলন কমানোর পথে হাঁটবে বলে ঘোষণা করেছে। ফলে বিশ্ব বাজারে বা়ড়ছে অশোধিত তেলের দাম। যা কপালে ভাঁজ ফেলেছে লগ্নিকারীদের।
•আসন্ন বড়দিন এবং নববর্ষের মরসুমে বেশির ভাগ বিদেশি সংস্থায়ই ছুটি থাকবে। ফলে এখন দোলাচলের বাজারে লগ্নিতে আগ্রহী নয় তারা।
•আগামী সপ্তাহের বৃহস্পতিবার চলতি বছরের শেষ ডেরিভেটিভ লেনদেনের দিন। তার আগে সতর্ক হয়েই পা ফেলতে চাইছেন লগ্নিকারীরা।
সম্প্রতি ভারতে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ায়, সোমবার বেড়েছে তেল সংস্থার শেয়ার দর। তবে সেনসেক্সের ৩০টি সংস্থার শেয়ারের ২১টিরই দর এ দিন পড়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy