Advertisement
E-Paper

চুড়োয় থাকা বাজারই এখন চিন্তা কেন্দ্রের

কেন্দ্র মনে করছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে শেয়ার বাজারের উপর আরও কড়া নজরদারি জরুরি। উচ্চতার এই শিখর থেকে হঠাৎ পতনের ঝুঁকি এড়াতেই তা প্রয়োজন, ইঙ্গিত আর্থিক সমীক্ষায়।

প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৫১

মোদী জমানায় ১২ হাজার পয়েন্ট পাড়ি দিয়েছে সেনসেক্স। অর্থনীতি হোঁচট খেলেও নিয়ম করে নতুন রেকর্ড গড়ছে শেয়ার বাজার। এমনকী বাজেটের আগে সূচকের এমন উত্থান শেষ কবে দেখা গিয়েছিল তা-ও মনে করতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। এই দৌড়কে ফাঁকা বুদবুদ বলে মেনে না নিলেও কেন্দ্র মনে করছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে শেয়ার বাজারের উপর আরও কড়া নজরদারি জরুরি। উচ্চতার এই শিখর থেকে হঠাৎ পতনের ঝুঁকি এড়াতেই তা প্রয়োজন, ইঙ্গিত আর্থিক সমীক্ষায়।

সোমবার মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যন বলেন, এটা ঠিক যে, সঞ্চয়ের ধরন বদলেছে। আগে ব্যাঙ্ক আমানত, সোনা ও জমি-বাড়িতে যে টাকা ঢালার রেওয়াজ ছিল, তার একটা বড় অংশ আসছে বাজারে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেখানে আরও কড়া নজরদারি জরুরি। বিশেষত বাজার এখন যে উচ্চতায় রয়েছে, তাতে তো বটেই। কারণ, ধস নামলে বড় ক্ষতি হবে অর্থনীতিরও।

বাজেট দেখে নিয়ে তার পরেই লগ্নির সিদ্ধান্ত নেওয়াটা ছিল রেওয়াজ। এ বার কিন্তু বাজেটের আগে গত সপ্তাহেই মাত্র চার দিনের লেনদেনে সেনসেক্স ১ হাজার পয়েন্ট উঠে ৩৬ হাজারের ঘরে ঢুকেছে। বাজারের রাশ যাতে আলগা না হয়, তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্র বা সেবি কী কী পদক্ষেপ করতে পারে সেটাই এখন জল্পনার কেন্দ্রবিন্দু। তবে বাজার বিশেষজ্ঞ অজিত দে বলেন, ‘‘বাজার তেজী না মন্দা, তা নিয়ে সেবির মাথাব্যথা থাকার কথা নয়। তার উচিত, সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এমন ঘটনা যাতে কোনও পর্যায়ে ঘটতে না পারে, তা নিশ্চিত করা।’’

অনেকের আবার মত, বাজার চূড়ান্ত ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে চলেছে। যেমন, ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি এবং স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখের মতো বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ‘‘স্বাভাবিক নিয়ম মেনে সংশোধন হয়নি। তাই আন্তর্জাতিক বা দেশের মধ্যে বড় অঘটন ঘটলে ওই সংশোধনের সম্ভাবনা প্রবল।’’

অজিতবাবু জানান, ‘‘ইতিমধ্যেই সেবি ব্রোকারদের ‘মার্জিন মানির’ অঙ্ক বাড়িয়েছে।’’ আগাম টাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ব্রোকারদের জমা রাখতে হয়। কেউ শেয়ার কিনে দাম না মেটালে মার্জিন মানি থেকে তা আদায় করা হয়। কেউ যাতে যত খুশি লেনদেন না করতে পারেন, তা নিশ্চিত করাও এর লক্ষ্য। কোনও সংস্থার শেয়ার কেনাবেচায় অস্বাভাবিকতা লক্ষ করলে এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষের নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।

শেয়ারের দাম বাড়ায় দীর্ঘ মেয়াদি মূলধনী লাভও বাড়ছে। অনেকের মত, এই খাতে কর বসিয়ে রাজস্ব আদায় বাড়ানো হতে পারে বাজেটে।

Economic Survey 2018 Budget 2018 2018 Budget Expectations বাজেট প্রত্যাশা ২০১৮ বাজেট ২০১৮ Share Market Sensex
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy