লোকসভা ভোটের ফল পর্যন্ত বাজার ক্রমাগত দুলতে থাকবে এমনই।
সপ্তাহের শুরুতেই আশা জাগিয়ে দৌড় দিয়েছে সূচক। এক লাফে সেনসেক্স উঠেছে ৩৭৩.০৬ পয়েন্ট। ১০১.৮৫ অঙ্ক উঠেছে নিফ্টিও। কিন্তু তা সত্ত্বেও যেন মন পুরোপুরি ভাল নেই বাজারের। তাকে ঘিরে রয়েছে অনিশ্চয়তা। যে কারণে এ দিন সূচক উঠলেও, তা কতটা দীর্ঘস্থায়ী হবে, সেই নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। বরং বলছেন, এখন সেই লোকসভা ভোটের ফল পর্যন্ত বাজার ক্রমাগত দুলতে থাকবে এমনই। পেন্ডুলামের মতো।
এ দিন উত্থানের দৌলতে বাজার বন্ধের সময় সেনসেক্স থামে ৩৫,৩৫৪.০৮ অঙ্কে। নিফ্টির দৌড় শেষ হয় ১০,৬২৮.৬০ পয়েন্টে। আবার তার আগের তিন দিনে সেনসেক্সের পতন হয়েছে ৭৮৩.৮৬ পয়েন্ট। নিফ্টি পড়েছে ২৩৬.৬৫। আর এই দোলাচলের জন্য মূলত বাজারের মন ভোটে পড়ে থাকার কথাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাঁদের মতে, এ দিন সূচকের লাফ দেওয়ার অন্যতম কারণ পড়তি বাজারে বাছাই করা ভাল শেয়ার কেনায় লগ্নিকারীদের আগ্রহ। এ ছাড়াও উত্থানে ইন্ধন জুগিয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম দ্রুত কমে আসা।
উত্থানে ইন্ধন
• পড়তি দরে বাছাই শেয়ার কিনতে ঝুঁকছেন লগ্নিকারীরা।
• বিশ্ব বাজারে অনেকখানি নেমেছে অশোধিত তেলের দাম। অক্টোবরেও ব্যারেলে যা ৮৫ ডলারের আশেপাশে ছিল, তা এখন ৬০ ডলারের নীচে।
• এক মাসে ডলারের সঙ্গে বিনিময়মূল্যে জমি ফিরে পেয়েছে টাকা। মার্কিন মুদ্রা এখন ৭১ টাকার আশেপাশে।
• ভারতের বাজারে আগ্রহ ফিরছে বিদেশি বিনিয়োগকারী সংস্থাগুলির। গত দু’দিনেই তারা ঢেলেছে ৫০৯ কোটি টাকা।
লগ্নিকারীদের উৎসাহ জুগিয়েছে ডলারের তুলনায় হালে টাকার মূল্য বৃদ্ধি। মার্কিন মুদ্রাটির দর ৭৭ টাকা থেকে নেমে এসেছে ৭১ টাকার আশেপাশে। টানা সাত দিন ওঠার পরে সোমবার অবশ্য ডলারের দর ১৮ পয়সা বেড়েছে।
তবে এই সব কিছুর পরেও দেকো সিকিউরিটিজের কর্ণধার অজিত দে এবং স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখ বলেন, ‘‘বাজার এতটাই অনিশ্চিত যে, কাল কী হবে, তা-ও বলা সম্ভব নয়।’’
তবুও চিন্তা
• ভোট পর্যন্ত শেয়ার বাজারে আপাতত অনিশ্চয়তা বহাল থাকারই সম্ভাবনা।
• পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তারপরে লোকসভা নির্বাচন। বাজারের চোখ সে দিকেই।
• একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার কেন্দ্রে হবে কি না, সে
বিষয়ে চাপা চিন্তা।
• দুশ্চিন্তা রয়েছে ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়া (ব্রেক্সিট) এবং আমেরিকা-চিনের শুল্ক যুদ্ধ নিয়েও।
• মাথাব্যথা থাকছে চিনের বৃদ্ধি শ্লথ হওয়া এবং মার্কিন অর্থনীতির গতি দীর্ঘ মেয়াদে চাঙ্গা থাকার বিষয়েও।
তাঁরা মনে করেন, পড়তি বাজারে কেনা শেয়ারের দাম সামান্য বাড়লেই মুনাফার টাকা তুলে নিতে তা বিক্রি করবেন লগ্নিকারীরা। ফলে পতন হবে সূচকের। অজিতবাবুর বক্তব্য, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ১১ ডিসেম্বর। তা বাজারকে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা যথেষ্ট। একই সঙ্গে বাজারের চোখ রয়েছে লোকসভা ভোটেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy