প্রতীকী চিত্র।
গত বছরের শেষ দিনে উঠেছিল ভারতীয় শেয়ার বাজারের দুই সূচক। সেই গতি বহাল থাকল নতুন বছরের প্রথম দু’টি লেনদেনের দিনেও। এই দু’দিনে সেনসেক্স উঠল প্রায় ১৬০০ পয়েন্ট। লগ্নিকারীদের ঘরে এল প্রায় ৫.৩৬ লক্ষ কোটি টাকা। বাজার বিশ্লেষকদের বক্তব্য, করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট যে ততটা কালান্তক হবে না সে সম্পর্কে আপাতত আশ্বস্ত লগ্নিকারীরা। ফিরতে শুরু করেছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির বিনিয়োগও। রফতানি পৌঁছেছে রেকর্ড উচ্চতায়। সেই সঙ্গে রয়েছে আমেরিকা-সহ বিশ্ব বাজারের উত্থান। এই সমস্ত কারণেই সূচকের গতি বাড়ছে। তবে তাঁরা আরও বলছেন, সিএমআইই-র রিপোর্ট অনুযায়ী ডিসেম্বরে দেশে বেকারত্বের হার বেড়েছে এবং তা অর্থনীতির কোনও কোনও ক্ষেত্রে ধাক্কার ইঙ্গিত। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই লগ্নিকারীরা আগামী দিনে বাজারে পা রাখার আগে সতর্কতা অবলম্বন করবেন।
মঙ্গলবার ৬৭২.৭১ পয়েন্ট বেড়ে ৫৯,৮৫৫.৯৩ অঙ্কে পৌঁছেছে সেনসেক্স। নিফ্টি ১৭৯.৫৫ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ১৭,৮০৫। ছোট ও মাঝারি মাপের শেয়ারগুলির দাম বাড়লেও হার ছিল বড় শেয়ারগুলির তুলনায় কম। সেনসেক্সের গুরুত্বপূর্ণ ১৯টি ক্ষেত্রের মধ্যে বেড়েছে ১৬টি। এ দিন ডলারের নিরিখে টাকার দর অবশ্য কমেছে। ১ ডলারের দাম ৩০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৭৪.৫৮ টাকা।
জিয়োজিৎ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের গবেষণা শাখার প্রধান বিনোদ নায়ার জানান, বছরের প্রথম লেনদেনেই আমেরিকার শেয়ার বাজার রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। এ দিন তাকেই অনুসরণ করেছে ভারত-সব বিশ্বের অধিকাংশ বাজার। বিভিন্ন রিপোর্টে জানানো হয়েছে, করোনা সংক্রমণ বাড়লেও তার প্রভাব আগের ঢেউগুলির মতো হবে না। তা-ই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে লগ্নিকারীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy