জমি-প্রশ্নে কলকাতায় বিভিন্ন মেট্রো প্রকল্পের কাজ অতীতে বার বার থমকেছে। চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ থেকে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো-পথের (কমলা লাইন) মধ্যে চিংড়িঘাটায় ৩৬৬ মিটারের কাজ হওয়া নিয়ে টানাপড়েন চলছে রাজ্য প্রশাসন ও মেট্রো কর্তৃপক্ষের। বিবাদ গড়িয়েছে আদালতে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পক্ষান্তরে, মঙ্গলবার বড়জোড়ায় দলীয় সভা থেকে রেল-সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য রাজ্য জমি দিয়েছে বলে পাল্টা দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শাহ এ দিন বলেছেন, “ভারত সরকার দেশজুড়ে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করছে। কোথাও কোনও পক্ষপাত হয় না। তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানায় মেট্রোর কাজে সমস্যা হচ্ছে না কেন? লখনউয়ে মেট্রোর কাজের সময় মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন অখিলেশ যাদব। শুধু পশ্চিমবঙ্গে অসুবিধা কেন? মেট্রো হাওয়ায় চলে না! জমি দরকার। সেই জমি খালি করার দায়িত্ব রাজ্যের।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বাঁকুড়ায় পাল্টা বলেন, “মমতা জমি না দিলে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর লাইন কে করে গিয়েছে? মমতা। আপনি নন!” তাঁর সংযোজন, “কয়লা তোলার জন্য ইসিএল কোথায় জমি পেত? রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, বাঁকুড়া, অন্ডাল বিমানবন্দর, পানাগড় থেকে ঘোকসাডাঙা, মালবাজার, চ্যাংড়াবান্ধায় জমি কে দিয়েছে? বড়-বড় কথা। মিথ্যা কথা।” এই আবহে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প কেন পশ্চিমবঙ্গে চালু করতে দেওয়া হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শাহ। তাঁর অভিযোগ, “মুখ্যমন্ত্রী আসলে নরেন্দ্র মোদী নামটাকেই ভয় পান।” এমন চাপানউতোরের মধ্যে সিপিএম দাবি করেছে, ২০১১-র পরে রানিগঞ্জে ইসিএল কোনও জমি অধিগ্রহণ করেনি। বাম আমলেই অন্ডালে জমি অধিগ্রহণ হয়েছিল এবং পানাগড়ে ওই আমলেই চাষিরা জমি দিয়েছিলেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)