দিনের মাঝে হাজার পয়েন্টের (১০৩২) বেশি পড়ে যাওয়া সেনসেক্স শেষে খানিকটা সামলাল। আগের দিনের থেকে প্রায় ৪১০ পয়েন্ট পড়ে থামল ৫৯,৬৬৭.৬০ অঙ্কে। তবে বিশেষজ্ঞেরা খুশি। এমনকি সূচক যখন ৫৯ হাজারের কাছে নেমে গিয়েছিল, তখনও উদ্বেগের বদলে হাঁফ ছেড়েছিলেন তাঁরা।
ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি কমল পারেখের দাবি, ‘‘আজ পড়েছে। কালই হয়তো বিপুল উঠবে। কিন্তু এই মুহূর্তে সূচক যত নামবে ততই মঙ্গল। বহু শেয়ারের দাম যেখানে চড়েছে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে সংশ্লিষ্ট সংস্থার মুনাফা তিন গুণ হতে হবে। সেটা এখনই সম্ভব নয়। ফলে শেয়ার দর নামতে হবে।’’ বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে তোয়াক্কা না-করে অস্বাভাবিক দ্রুত গতিতে ওঠা বাজারে বড় পতনের ঝুঁকি থাকবেই। সাধারণ লগ্নিকারীকে শেয়ার কিনতে হবে সতর্ক হয়ে, দীর্ঘ মেয়াদে।
এ দিন সূচকের পড়ার জন্য কিছুটা দায়ী বহু লগ্নিকারীর শেয়ার বেচে লাভ তুলে নেওয়ার ঝোঁক। তবে মূল কারণ ছিল দুর্বল বিশ্ব বাজার। যার কারণ ইউরোপের জ্বালানি সঙ্কট, চিনের বিদ্যুৎ সঙ্কট, অশোধিত তেলের চড়া দাম, আমেরিকায় বন্ডের ইল্ড বৃদ্ধি। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাসের অভাব, ফলে কয়লা এবং অশোধিত তেলের দাম বেড়ে যাওয়া ভারতের মতো সম্ভাবনাময় অর্থনীতির পক্ষে উদ্বেগের। বিভিন্ন দেশ বেগতিক বুঝে কয়লা জমাচ্ছে। কয়লার অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন ধাক্কা খাওয়ায় চিনে বহু কারখানা বন্ধ। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এতে উৎপাদন ধাক্কা খাবে সেখানে। যার প্রভাব সারা বিশ্বে পড়তে পারে। কারণ, অনেক পণ্যের কাঁচামাল জোগায় চিন। এটা শেয়ার বাজারের পক্ষে ভাল খবর নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy