রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।—ছবি রয়টার্স।
দেশের অর্থনীতির হাল নিয়ে প্রাক্তন যখন উদ্বিগ্ন, তখন তার মধ্যেও সম্ভাবনার বীজ খোঁজার পক্ষপাতী বর্তমান।
অর্থনীতি যে শ্লথ হয়েছে, সোমবার তা কবুল করলেন খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসও। মেনে নিলেন, একগুচ্ছ চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে দেশ। ঠিক যে কথা বলছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। কিন্তু সমস্যার কথা মেনেও শক্তিকান্তের আর্জি, শুধু হতাশার কথা বলা বন্ধ হোক। বরং প্রত্যেকে চোখ রাখুক সামনে ছড়িয়ে থাকা সুযোগের দিকে। সেগুলিকে কাজে লাগাক।
গভর্নরের এই বার্তা এমন সময় এসেছে, যখন কাহিল চাহিদার ধাক্কায় ভুগছে অর্থনীতি। অবস্থা এতই শোচনীয় যে, ঋণের চাহিদা তলানিতে। গাড়ি শিল্পে ব্যাপক ছাঁটাইয়ের ভয়। তবু তাঁর আক্ষেপ, ‘‘যখন কাগজ পড়ি বা ব্যবসার খবরে চোখ রাখি, তখন বুঝতে পারি সুর ইতিবাচক নয়।’’
কিন্তু চাহিদার সঙ্কট যে তাঁর মাথাতেও আছে, তা স্পষ্ট শক্তিকান্তের বার্তায়। তিনি বলেন, সময় এসেছে রেপো রেটের (স্বল্প মেয়াদে যে সুদে শীর্ষ ব্যাঙ্কের থেকে ধার নেয় ব্যাঙ্ক) সঙ্গে সমস্ত ব্যাঙ্কের সুদকে দ্রুত যুক্ত করার। যদিও এতে তড়িঘড়ি করার পক্ষপাতী নন তিনি। গত ঋণনীতিতে শক্তিকান্তের আক্ষেপ ছিল, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক চার দফায় ১১০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট কমানোর পরেও তার সামান্য অংশই সুবিধা হিসেবে গ্রাহককে দিয়েছে ব্যাঙ্কগুলি। ফলে সে ভাবে না কমছে সংস্থার মূলধন জোগাড়ের খরচ, না কমছে গ্রাহকের মাসিক কিস্তি। অধরা থাকছে চাহিদা বৃদ্ধির লক্ষ্যও। যদিও এ দিনই অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক কর্তার দাবি, সুদ কমার সুবিধা গ্রাহকের কাছে পৌঁছতে রেপো রেট জোড়াই এক মাত্র পথ নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy