প্রতীকী ছবি।
একদিন থমকে থাকার পরে আজ, শুক্রবার ফের বাড়ল তেলের দর। পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্যে ভোট পর্ব মেটার পরে আজ দৈনিক দর বৃদ্ধি সব থেকে বেশি। ফলে উচ্চতার নতুন রেকর্ড গড়ে কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে লিটার পিছু পেট্রলের দাম আরও ২৮ পয়সা বেড়ে হল ৯২.৪৪ টাকা আর ডিজেল ৩৪ পয়সা বেড়ে ৮৫.৭৯ টাকা।
বৃহস্পতিবার তেলের দামকে অস্ত্র করে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে শিবসেনা। চার রাজ্য (পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কেরল এবং তামিলনাড়ু) এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে (পুদুচেরি) বিধানসভা ভোটের সময় তেলের দাম একটু কমে যাওয়া এবং ভোট মিটতেই আবার লাগাতার বেড়ে রেকর্ড উচ্চতা ছুঁয়ে ফেলা, এই ছবি তুলে ধরেই এ দিন কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর হয়েছে তারা। সেনার মুখপত্র সামানা-এ বলা হয়েছে, ‘‘দেশের বর্তমান শাসক ভোটের জন্য সব কিছু করতে পারে।’’
বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম চড়া হওয়ার যুক্তি দেখিয়ে ভোট শেষ হতেই নাগাড়ে বাড়ানো হচ্ছে পেট্রল-ডিজেলের দাম। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের বহু জায়গায় পেট্রল লিটারে ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। করোনা সঙ্কটের মধ্যেই যা যাতায়াত, বাজারহাটের খরচ লাফিয়ে বাড়ার আশঙ্কা তৈরি করছে। ‘ভোট শেষ, লুঠ শুরু’ বলে কংগ্রেস কেন্দ্রকে বিঁধেছে আগেই। এ দিন নিজেদের মুখপত্রে শিবসেনা বলেছে, ‘‘বাড়তে থাকা তেলের দাম হঠাৎ ভোটের সময় কমানো হল। অথচ নির্বাচনের ফল বেরোতেই ছবিটা পুরো বদলে গেল। বর্তমান শাসক ভোটে স্বার্থসিদ্ধির জন্য সব কিছু করতে পারে।’’ তাদের কটাক্ষ, এর আগে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের সময় তেলের দাম স্থির ছিল। ফল বেরোনোর পরে ১৮ দিনে ১৫ বার দাম বেড়েছে। দিল্লির ভোটের সময়ও দর স্থিতিশীল থাকার ‘অলৌকিক’ ঘটনা ঘটেছে। ঠিক যেমন তিন বছর আগে কর্নাটকের ভোট পর্বে। অথচ সে সময় বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল বাড়ছিল।
এ দিন শিবসেনার তোপ, ‘‘এখনই আরও কোনও নির্বাচন চোখে পড়ছে না। ফলে সাম্প্রতিক ভোট মরসুমে মোদী সরকারকে যত টাকা ছাড়তে হয়েছে, ততটা হয়তো দ্রুত আবার সিন্দুকে ভরে নিতে চাইছে তারা। কিন্তু সাধারণ মানুষের পকেটের কী হবে? তা তো ফাঁকা। বেকারত্ব এবং বেতন ছাঁটাইয়ে তাঁরা ইতিমধ্যেই বিদ্ধ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy