ব্যাঙ্ক এবং ডাকঘরে কমেছে সুদের হার। আর তাই ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও দিন দিন বাড়ছে মিউচুয়াল ফান্ডের লগ্নি। সংশ্লিষ্ট তহবিলটিতে দু’ভাবে বিনিয়োগ করতে পারেন গ্রাহক। এর একটি হল লাম্পসাম। অপরটিকে বলা হয় ‘সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান’ বা এসআইপি। দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে প্রতি মাসে সংশ্লিষ্ট তহবিলটিতে জমা করতে হয় সুনির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা। এর নিয়ম কিছুটা রেকারিং ডিপোজ়িটের মতো।
আর্থিক বিশ্লেষকদের দাবি, এসআইপিতে বিনিয়োগে কোটিপতি হওয়ার রয়েছে সুযোগ। গ্রাহকের মাসিক লগ্নির অঙ্ক পাঁচ হাজার টাকা হলে, তিন কোটির তহবিল তৈরি করতে পারবেন তিনি। সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানে সুদের হার সুনির্দিষ্ট নয়। তবে ঐতিহাসিক ভাবে এতে ন্যূনতম ১২ শতাংশ সুদ পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। সেই হিসাবে তিন কোটির তহবিল তৈরি করতে ক’দিন সময় লাগবে, আনন্দবাজার ডট কম-এর এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
এসআইপি থেকে সুদেমূলে কত অর্থ পাওয়া যাবে, তা হিসাব করার সহজ একটি ফর্মুলা রয়েছে। সেটি হল, M = P × ({[1 + i]^n – 1} / i) × (1 + i)। এখানে M বলতে সুদেমূলে পাওয়া টাকার পরিমাণকে বোঝানো হয়েছে। বিনিয়োগকারী প্রতিমাসে যে পরিমাণ অর্থ লগ্নি করবেন, সেটা হল P। এ ছাড়া বিনিয়োগের সংখ্যা N এবং সুদের হার I ধরে সংশ্লিষ্ট অঙ্কটি করবেন বিনিয়োগকারী। উল্লেখ্য, এতে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ পাবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন:
এই হিসাবে পাঁচ হাজার টাকার এসআইপিতে তিন কোটির তহবিলে পৌঁছোতে ৩৬ বছর সময় লাগবে গ্রাহকের। সুদের হার ১২ শতাংশ ধরে এই হিসাব কষা হয়েছে। সেটা আরও বেড়ে ১৫ শতাংশ হলে ৩১ বছরেই তিন কোটির তহবিলে পৌঁছে যাবেন তিনি।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই এই তহবিলে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার ডট কম কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)