দেবীপক্ষের সূচনায় চালু হয়েছে ‘পণ্য ও পরিষেবা কর’ বা জিএসটির (গুড্স অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স) নতুন কাঠামো। নয়া নিয়মে একগুচ্ছ সামগ্রীর উপর থেকে কর প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। জিএসটি শূন্য হয়ে যাওয়ায় উৎসবের মরসুমে সেগুলি যে ব্যাপক সস্তা হচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য। তালিকায় আছে কোন কোন পণ্য? আনন্দবাজার ডট কম-এর এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
সংশোধিত জিএসটি অনুযায়ী, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীগুলির ক্ষেত্রে আমজনতাকে দিতে হবে না কোনও কর। তার মধ্যে থাকছে আগে থেকে প্যাকেট করা ও লেভেলযুক্ত পনির, পিৎজ়া, খাকরা, চাপাটি, পরোটা, কুলচা এবং রুটির মতো খাদ্যসামগ্রী। এ ছাড়া অতি উচ্চ তাপমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত (আল্ট্রা হাই-টেমপারেচার প্রসেস্ড) দুধকেও করমুক্ত করেছে মোদী সরকার।
সংশোধিত জিএসটিতে করের আওতায় বাইরে রয়েছে ব্যক্তিগত জীবন এবং স্বাস্থ্য বিমার কিস্তি। এ ছাড়া ৩৩টি জীবনদায়ী ওষুধ, রোগ নির্ণয়কারী সরঞ্জাম, অন্য কিছু চিকিৎসা সামগ্রী এবং অক্সিজ়েনের ক্ষেত্রেও দিতে হবে না কোনও কর। লেখার খাতা, ইরেজ়ার, পেন্সিল, শার্পনার, অ্যাটলাস মানচিত্র, গ্লোব এবং রং পেন্সিলের সেটের মতো স্টেশনারি সামগ্রীতেও শূন্য কর ধার্য করেছে জিএসটি কাউন্সিল।
চলতি বছরের ৩ সেপ্টেম্বর সংশোধিত জিএসটির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার, ২২ তারিখ থেকে যা চালু করেছে কেন্দ্র। নতুন নিয়মের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে খুচরো ব্যবসায়ীরা কর না নিলে অভিযোগের সুযোগ পাবেন গ্রাহক। এর জন্য যে টোল ফ্রি নম্বরটি রয়েছে, সেটি হল ১৮০০-১১-৪০০০। এ ছাড়া ১৯১৫-এ ফোন করে বা ৮৮০০০০১৯১৫ হোয়াটস্অ্যাপ নম্বরেও অভিযোগ দায়ের করা যাবে।
আরও পড়ুন:
এ ছাড়া গ্রাহক চাইলে অনলাইনে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনতে পারেন। তার জন্য https://consumerhelpline.gov.in/public/- ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে তাঁদের। সেখানে অবশ্য অভিযোগের সময়ে প্রয়োজনীয় নথি অর্থাৎ কেনাকাটার রসিদ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ দায়ের হয়ে গেলে একটি ডকেট নম্বর পাবেন গ্রাহক। সেই নম্বর মোতাবেক পরপর প্রতিটা ক্ষেত্রে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে জানা গিয়েছে।
নতুন জিএসটি ব্যবস্থা শুরু হওয়ার মুখে রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘সময়ের দাবি মেনে, সব পক্ষের মতামত নিয়ে নতুন ব্যবস্থাটি চালু করা হয়েছে।’’ একে ‘নবরাত্রিতে নতুন সূর্যোদয়’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন তিনি।