নোটবন্দি, জিএসটি, কোভিড, মূল্যবৃদ্ধি, চড়া সুদ— একের পর এক ঝড় সামলানো ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্প ফের বিপাকে। আশঙ্কা, আমেরিকার ৫০% শুল্কের ক্ষত সব থেকে গভীর হবে তাদের ক্ষেত্রেই। কারণ তথ্য বলছে, ভারতের মোট রফতানির ৪৫-৫০ শতাংশই হয় এই ধরনের সংস্থার হাত ধরে। চড়া শুল্ক বিদেশের বাজারে যাদের পণ্যের দাম বাড়িয়ে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে দেবে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ঝড় কিছুটা সামলানো যেতে পারে পণ্যের গুণমান বাড়িয়ে। সঙ্গে খুঁজতে হবে বিকল্প বাজার। তাতে পুরোটা না হলেও, অর্ধেক ক্ষতি অন্তত পূরণ হবে।
উপদেষ্টা ক্রিসিল ইন্টেলিজেন্সের ডিরেক্টর পূষণ শর্মার মতে, চড়া শুল্কের প্রভাব ভারতের ছোট সংস্থার উপর পড়তে বাধ্য। পণ্যের দাম বাড়ায় ক্রেতা হারাবে তারা। এই শিল্পের সংগঠন ফসমির সভাপতি বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “ছোট-মাঝারি শিল্পের রফতানি কমবে, বিশেষত বস্ত্র, গয়না, এঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, হস্তশিল্প ইত্যাদি ক্ষেত্রে। পশ্চিমবঙ্গের হস্তশিল্প, চামড়া, রাসায়নিক এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সংস্থাগুলির মার খাওয়ার আশঙ্কা। বিদেশে বহু বরাত বন্ধ হবে, কমবে কাজ। আমেরিকার উপর নির্ভরশীল রফতানি ক্ষেত্র ধাক্কা খেতে পারে।’’ সরকারি সাহায্যও চেয়েছেন বিশ্বনাথ।
ক্ষুদ্র শিল্প মন্ত্রকের কর্তা জানান, শুল্কের প্রভাব থেকে বাঁচার দু’তিনটি পথ আছে। এক, পণ্যের মান বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত উন্নতি। দুই, শিল্পগুচ্ছ বা ক্লাস্টারের উন্নতি ঘটিয়ে পণ্য রফতানি। তিন, ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়া,আফ্রিকায় বিকল্প বাজার খোঁজা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)