কর্মসংস্থান নিয়ে রাজনৈতিক তরজা ‘পকোড়ার দোকান’ পর্যন্ত গড়িয়েছে। আর বাজেটের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে এই কর্মসংস্থানকে পুঁজি করেই প্রত্যাশা পূরণের আশায় বুক বাঁধছে খুচরো ব্যবসা ও নির্মাণ শিল্প। পরিসংখ্যান বলছে, ১২০ কোটির দেশে কাজ দেওয়ায় এগিয়ে এই দুই ক্ষেত্র।
ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের মধ্যে খুচরো ব্যবসা বা রিটেলে প্রায় দু’কোটি নতুন কর্মসংস্থান হবে। একই সময়ে নির্মাণ বা রিয়েল এস্টেটে কর্মসংস্থান দাঁড়াবে ৭ কোটির বেশি।
কাজের জোগানে নির্মাণ শিল্পের চেয়ে ছোট হলেও, খুচরো ব্যবসার প্রত্যাশার ঝুলি বড়। কারণ বাজারের মাপ। বিশেষজ্ঞদের মতে, ১২% হারে বাড়তে থাকা এই বাজার ২০২৬ সালে দেড় লক্ষ কোটি ডলার ছাড়াবে। বিশেষজ্ঞ সংস্থা এ টি কিয়ার্নির গ্লোবাল রিটেল ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স সেই সম্ভাবনায় সিলমোহর বসিয়েছে। এই সূচক অনুযায়ী ভারতে খুচরো ব্যবসার বৃদ্ধি ৩০টি উন্নয়নশীল দেশে সর্বোচ্চ।
আর এই সব পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (আরএআই)-র প্রধান কুমার রাজাগোপালন মনে করেন, কর্মসংস্থানে এই দুই ক্ষেত্রের গুরুত্ব বুঝেই নোটবন্দি ও জিএসটির ক্ষতে প্রলেপ দিতে পারে বাজেট। সেই সুবাদেই প্রত্যাশার তালিকা কেন্দ্রের কাছে পেশ করেছে আরএআই। যার প্রথমেই রয়েছে শিল্পের তকমা দাবি।
দাবি সনদ
খুচরো ব্যবসা
• সহজে ঋণ ও পুঁজি পেতে শিল্পের মর্যাদা
• জিএসটির নিয়ম সরল
• ডিজিটাল লেনদেনে সুবিধা
• কৃষি বিপণন আইনে রদবদল
নির্মাণ
• শিল্পের তকমা
• জিএসটি আরও কমানোর দাবি
রাজাগোপালনের মতে, এই তকমা পেলে ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ীরা সহজে ঋণ ও পুঁজি পাবেন। একই সঙ্গে তাঁর দাবি জিএসটির প্রক্রিয়া সরল করার। ব্যবসার খরচ কমাতে দোকান ভাড়ায় পরিষেবা কর মকুবের আর্জিও জানিয়েছে আরএআই। ১০ লক্ষ টাকার কম ভাড়ার জন্যই এই ছাড় চায় তারা। ডিজিটাল লেনদেনে সহায়ক প্রযুক্তির দাম কমানোর আর্জিও রয়েছে। আছে এই লেনদেনে আর্থিক সুবিধার প্রস্তাবও।
কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি পণ্য কেনার সুযোগ বাড়াতে কৃষিপণ্য বিপণন আইনেও রদবদল চায় রিটেল। তাদের মতে, মধ্যস্থতাকারী থাকায় দাম নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়।
প্রত্যাশা-প্রাপ্তির ফারাক কমার দিন গুনছে নির্মাণ ক্ষেত্রও। তাদেরও দাবি শিল্পের তকমা। ক্রেডাই বলেছে, ফ্ল্যাট কেনায় জমির দামের বোঝা কমাতে জিএসটি আরও কমুক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy