Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

আবাসনে নজর রাজ্যের, লক্ষ্য স্ট্যাম্প ডিউটি ছাঁটাই

নগদের অভাবে নাস্তানাবুদ বহু নির্মাণ সংস্থা। ঋণ পাচ্ছে না অনেকে। স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির সামনে সেই সমস্যা তুলে ধরতে রিয়েল এস্টেট সাব-কমিটি তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

বার্তা: ক্রেডাই ও সিবিআরই-র অনুষ্ঠানে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। বৃহস্পতিবার কলকাতায়। নিজস্ব চিত্র

বার্তা: ক্রেডাই ও সিবিআরই-র অনুষ্ঠানে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। বৃহস্পতিবার কলকাতায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:১০
Share: Save:

আবাসন শিল্পকে অক্সিজেন জোগাতে মাঠে নামছে রাজ্য। আর সেই কাজে প্রথম নিশানা স্ট্যাম্প ডিউটি। এ রাজ্যে যার চড়া হারে ক্রেতা-বিক্রেতা হাঁসফাঁস করেন বলে অভিযোগ নির্মাণ সংস্থাগুলির সংগঠন ক্রেডাইয়ের। বৃহস্পতিবার তাদেরই রাজ্য শাখার অনুষ্ঠানে অর্থ তথা শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র জানান, বাড়ির দামের মূল্যায়ন (ভ্যালুয়েশন) আরও বাস্তবধর্মী করতে পরামর্শদাতা ডেলয়েটকে নিয়োগ করা হয়েছে। এই দামের ভিত্তিতেই স্ট্যাম্প ডিউটির হার ঠিক হয়।

নগদের অভাবে নাস্তানাবুদ বহু নির্মাণ সংস্থা। ঋণ পাচ্ছে না অনেকে। স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির সামনে সেই সমস্যা তুলে ধরতে রিয়েল এস্টেট সাব-কমিটি তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

ক্রেডাই ও পরামর্শদাতা সংস্থা সিবিআরই-র রিপোর্ট বলেছে পশ্চিমবঙ্গে নির্মাণ শিল্পের পরিস্থিতি ও সম্ভাবনার কথা। সেটি প্রকাশ করে অমিতবাবু জানান, রাজ্যে ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত নির্মাণ শিল্পে ৪০ হাজার কোটি টাকা লগ্নি হয়েছে। সার্বিক বৃদ্ধির হার ১৫%। কাজ পেয়েছেন ৪০ লক্ষ। হয়েছে ১.৭৫ লক্ষ ফ্ল্যাট। সিংহভাগই সাধারণ রোজগেরেদের কথা ভেবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে কাহিল চাহিদার আবহে আবাসন শিল্পকে চাঙ্গা করলে কর্মসংস্থান ও লগ্নির নিরিখে রাজ্যের ভাবমূর্তি চাঙ্গা হবে বুঝেই এই উদ্যোগ সরকারের। বিশেষত এ রাজ্যে ফ্ল্যাট/বাড়ির দামের মূল্যায়ন নিয়ে যেখানে অসন্তোষ বহু দিনের। এ দিন ক্রেডাই বেঙ্গলের কর্তা নন্দু বেলানিরও অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই বাজার দরের তুলনায় বাড়ির দামের সরকারি মূল্যায়ন বেশি হয়। স্টাম্প ডিউটিও বাড়ে। এর সমাধানে ডেলয়েট অন্যান্য রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তুলনামূলক ছবি তুলে ধরবে, জানান মন্ত্রী। সিবিআরই কর্তা অংশুমান ম্যাগাজিনের অবশ্য দাবি রাজ্যে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি প্রাইভেট ইকুইটি ফান্ডের উপস্থিতিই প্রমাণ করছে এখানে নির্মাণ শিল্পের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।

মধ্যবিত্তের মন জিততে ও আরও বেশি মানুষকে করের আওতায় এনে কোষাগারের কলেবর বাড়াতে ২০১৮ সালের বাজেটেই স্ট্যাম্প ডিউটিতে ১% ছাড় দিয়েছিল রাজ্য। তথ্য বলছে, রাজ্যের রাজস্ব বাড়াতে আবগারি ও আবাসনই প্রধান ভরসা। আবাসনের ক্ষেত্রে সেই ভরসায় টোল পড়েছিল নোটবন্দি ও জিএসটির ধাক্কায়। ফ্ল্যাট বিক্রি কমায় স্ট্যাম্প ডিউটি খাতেও আয় কমে। আবার ভ্যালুয়েশন কম হলেও কমবে স্ট্যাম্প ডিউটি। সে ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েই অমিতবাবু জানান, সব দিক দেখে বাড়ির দামের মূল্যায়নের বিষয়টি ঠিক করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE