নতুন শিল্পস্থাপন নিয়ে নেতিবাচক ভাবমূর্তি এখনও বয়ে চলেছে রাজ্য। যা বদলাতে সরকারকে লড়াই করে যেতে হচ্ছে বলে জানালেন শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা। সোমবার ইন্ডিয়ান প্লাস্টিক ফেডারেশনের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সে জন্য নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে। সম্প্রতি ভোটের ফলে কিছুটা উত্তর দেওয়া গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে বন্ধ কারখানা ও শিল্প করিডোরের পাশের উদ্বৃত্ত জমি হাতে নিয়ে সেখানে নতুন শিল্প গড়ার কথা জানান মন্ত্রী। বলেন, ওই সব জমি চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। শিল্প দফতরের হাতে এসেছে ৫০০ একরের বেশি জমি।
প্রসঙ্গত, শিল্পের জন্য পশ্চিমবঙ্গে একলপ্তে বড় জমি মেলে না বলে অভিযোগ বহু দিনের। যাকে ভুল প্রমাণিত করতে রাজ্য বদ্ধপরিকর। তাই কলকাতা লাগোয়া বিভিন্ন জেলা থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত বন্ধ কারখানা এবং চালু কারখানার উদ্বৃত্ত জমি চিহ্নিতকরণ ও হাতে নেওয়া হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী। পাশাপাশি শিল্পমন্ত্রী স্পষ্ট বলেন, রাজ্যে শিল্প তৈরিতে সরাসরি আর্থিক সুবিধা দেয় না সরকার। বিদ্যুৎ, জল, জমি-সহ নানা ক্ষেত্রে সংস্থাগুলিকে সাহায্য
করা হয়।
এ দিকে, উলুবেড়িয়ার পলিপার্কের সমস্যা দ্রুত মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন শিল্পমন্ত্রী। সভায় তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির কাজ আরও দ্রুত এগোনোর আর্জি জানায় প্লাস্টিক ফেডারেশন। দাবি, না হলে আমদানি-রফতানিতে সমস্যায় পড়ছে তারা। যদিও পাঁজা জানান, তাজপুর বন্দরের বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী নিজে দেখছেন। এ নিয়ে যা বলার তিনিই বলবেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)