এক দিকে, টাকার দামকে ঠেলে ফেলে ৫৯ পয়সা উঠে গেল ডলার। হল ৮৬.১১ টাকা। অন্য দিকে, মুখ থুবড়ে পড়ল শেয়ার বাজার। লেনদেন চলাকালীন সেনসেক্স নামল প্রায় ১৩৩৭ পয়েন্ট, দিনের শেষে ৫৭৩.৩৮। অস্থির সূচক থিতু হল ৮১,১১৮.৬০ অঙ্কে। টানা দু’দিনের পতনে লগ্নিকারীরা হারালেন ৮.৩৫ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ। এ দিন নিফ্টি ১৬৯.৬০ নেমে হয়েছে ২৪,৭১৮.৬০।
ইরানের উপরে ইজ়রায়েলের হামলা শুক্রবার বিশ্ব জুড়ে বেশির ভাগ দেশের শেয়ার বাজারকেই দুর্বল করেছে। কাঁপুনি ধরে ভারতেও। বিশেষ করে পশ্চিম এশিয়ার এই উত্তেজনা বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দামকে ঠেলে তোলায়। এতে ভারতের আমদানি খরচ বাড়বে। দেশের তেলের দাম বৃদ্ধিরও আশঙ্কা তৈরি হবে। যা মূল্যবৃদ্ধির হারকে চড়িয়ে দিতে পারে। সব মিলিয়ে শুক্রবার বড়সড় কোপ পড়ে লগ্নিকারীদের আস্থায়। বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলিও হাতের শেয়ার বিক্রি করতে থাকে।
বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দী বলছেন, ‘‘বাজার চূড়ান্ত অনিশ্চিত। আপাতত শেয়ার সূচকে অস্থিরতা দেখা যাবে। ইজ়রায়েল-ইরান আক্রমণ এবং প্রতি আক্রমণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে তা আরও পড়তে পারে।’’ তাঁর মতে, ভূ-রাজনৈতিক সংঘর্ষে তেলের দাম চড়ায় বাজারে তারও বিরূপ প্রভাব পড়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ৩ শতাংশের নীচে নামলেও, তেলের জন্য দামের আবার মাথা তোলার উদ্বেগও বহাল থাকছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)