রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে শাখা সংস্থা বা যৌথ প্রকল্পগুলির শেয়ার প্রথম বার বাজারে ছেড়ে পুঁজি সংগ্রহের পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। তাতে সেখানে নিজেদের ঢালা পুঁজির একাংশ তুলে আনা সম্ভব হবে। তবে সরকারের স্পষ্ট বার্তা, শেয়ার বাজারে নথিবদ্ধ হওয়ার এই পদক্ষেপ করার আগে শাখা সংস্থাগুলিকে আরও দক্ষ করে তাদের ব্যবসাকে শক্তপোক্ত করা জরুরি। তা হলে শেয়ার ছাড়ার পরে রিটার্ন আসবে বেশি। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক তাদের অন্তত ১৫টি শাখা সংস্থা এবং যৌথ উদ্যোগের শেয়ার ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সূত্রের খবর, স্টেট ব্যাঙ্ক দুই শাখা সংস্থা এসবিআই জেনারেল ইনশিয়োরেন্স এবং এসবিআই পেমেন্ট সার্ভিসেসের শেয়ার ছাড়তে চাইছে। দু’টিতে এসবিআইয়ের অংশীদারি যথাক্রমে ৬৮.৯৯% এবং ৭৪%। কানাড়া ব্যাঙ্ক ছাড়তে চাইছে কানাড়া রোবেকো এবং কানাড়া এইচএসবিসি লাইফ ইনশিয়োরেন্সের শেয়ার।
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে শুধু ঋণ-নির্ভর না হয়ে বাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহের পরামর্শ দিয়ে আসছে মোদী সরকার। এ বার ব্যাঙ্কগুলিকে শাখা সংস্থার জন্য তহবিল জোগাড়ে একই রাস্তায় হাঁটতে বলল। ব্যাঙ্কের আমানত সংগ্রহের খরচ বেশি। বরং শেয়ার বা ঋণপত্রের মাধ্যমে তা করলে সাশ্রয় হয়। সূত্রের খবর, সরকারের পরামর্শ শাখা এবং যৌথ উদ্যোগগুলির পরিচালন ব্যবস্থা এবং ব্যবসায় উন্নতি ঘটাতে হবে। তার পরের পদক্ষেপ সময়মতো বাজারে শেয়ার ছাড়া।
বার্তা
শাখা সংস্থা এবং যৌথ উদ্যোগগুলির শেয়ার ছাড়ুক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক।
তবে তার আগে ব্যবসায়িক ভাবে শক্তপোক্ত করতে হবে সংস্থাগুলিকে।
তার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে ঢালতে হবে পুঁজি।
অপেক্ষা করতে হবে উপযুক্ত সময়ের জন্য।
তা হলে রিটার্ন ভাল হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)