বাজেটের আগে আর্থিক সমীক্ষাতেই বলা হয়েছিল কর্মসংস্থান বৃদ্ধির গুরুত্বের কথা। জানানো হয়েছিল, ‘বিকশিত ভারত’ গঠন করতে গেলে আগামী দু’দশক আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮% রাখতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, কাজ এবং রোজগার না বাড়লে তা হবে কী ভাবে? সেই কর্মসংস্থান তৈরির দায়িত্ব এ বার সরাসরি বেসরকারি ক্ষেত্রের কাঁধেই তুলে দিল কেন্দ্র। আজ বণিকসভা পিএইচডি চেম্বারের এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় অর্থসচিব তুহিনকান্ত পাণ্ডের স্পষ্ট বক্তব্য, শিল্পকে ঝুঁকি নিয়ে কল-কারখানা গড়ে তুলতে হবে। তৈরি করতে হবে কর্মসংস্থান।
অতীতে ঠিক এই আশাতে কর্পোরেট করের হার ৩৫% থেকে কমিয়ে ২২% করেছিল কেন্দ্র। মনে করা হয়েছিল অতিরিক্ত মুনাফায় শিল্প সংস্থাগুলি বিনিয়োগ করবে। বাড়বে কাজ। কিন্তু বেসরকারি ক্ষেত্র সাড়া দেয়নি। এ বারে বাজেটের পরে বিশেষজ্ঞ মহলের ব্যাখ্যা, কেন্দ্র সাধারণ মধ্যবিত্তের হাতে উদ্বৃত্তের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। যা বাজারে বিক্রিবাটা বাড়াতে সাহায্য করবে। সরকার চাইছে, বর্ধিত চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো এবং কাজ তৈরি করুক সংস্থাগুলিই।
বেসরকারি ক্ষেত্রের উদ্দেশে পাণ্ডে বলেন, ‘‘ঝুঁকি নেন বলেই আপনারা উদ্যোগপতি। আপনাদের কারখানা গড়তে হবে। তৈরি করতে হবে কাজ।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘নতুন কাজ তৈরি হলে বিক্রিবাটা এবং সঞ্চয় বাড়বে। তা আবারও ফিরে আসবে লগ্নি হিসেবে। এ ভাবেই আমাদের ৬% থেকে ৮% বৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)