গ্রাহকের তথ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সময় বেঁধে এগোতে চায় কেন্দ্র। শুক্রবার এ সংক্রান্ত আইনের নিয়মাবলি প্রকাশ করেছে তারা। সেখানে তথ্য জমা রাখা, তা মুছে ফেলা, সায় নেওয়ার মতো প্রায় প্রতিটা নিয়মের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, প্রথমে গ্রাহকের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তৈরি করতে হবে তথ্য সুরক্ষা পর্ষদ। যে সংস্থা তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহার করবে, তাদের বিশেষ কাঠামো তৈরি করতে হবে ১২ মাসের মধ্যে। আর গ্রাহকের সায় নিতে নোটিস পাঠানো, সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা, তথ্যের অধিকার এবং তা খর্ব হলে বিজ্ঞপ্তি জারির শর্তের মতো নিয়ম আসবে ১৮ মাস পরে। ভারতেই এ দেশের গ্রাহকের তথ্য জমার ব্যবস্থাও করতে হবে ওই সংস্থাগুলিকে।
এর সঙ্গেই কেন্দ্র জানিয়েছে, অনলাইনে গ্রাহকের তথ্য আসার দিন থেকে (ব্যক্তিগত তথ্য, বার্তা ইত্যাদি) অন্তত এক বছর তা জমা রাখতে হবে সশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে। সেই তথ্য মুছতে হলে ৪৮ ঘণ্টা আগে দিতে হবে নোটিস। তথ্য ব্যবহারে গ্রাহক সায় দিলে অনুমোদনের নথি কমপক্ষে সাত বছর রাখতে হবে। কোনও অ্যাকাউন্টে তিন বছর লেনদেন বা বার্তালাপ না হলে সেটির তথ্য মুছতে হবে ই-কমার্স, অনলাইন গেমিং ও সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে। প্রতি ১২ মাসে তথ্য সুরক্ষার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখতে ও অডিট করাতে হবে তাদেরকে।
এর সঙ্গেই তথ্য ফাঁসের ক্ষেত্রে গ্রাহক এবং তথ্য সুরক্ষা পর্ষদকে সেই কথা সঙ্গে সঙ্গে জানাতে হবে। কী তথ্য চুরি হয়েছে, তার প্রভাব কী হতে পারে, কী ভাবে ক্ষতি কমানো যায়, ভবিষ্যতে ঝুঁকি কমানোর উপায় এবং অভিযোগ জানানোর ফোন নম্বরও দিতে হবে। পাশাপাশি, পর্ষদকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। বলতে হবে অভিযুক্তকে খুঁজে বার করার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা রুখতে কী পদক্ষেপ করছে সংস্থা। অভিযোগের ছ’মাসের মধ্যে পর্ষদকে তদন্ত শেষ করতে হবে। কারণ দেখিয়ে আরও তিন মাস বাড়ানো যাবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)