রাজ্যে শ্রম আইন ভাঙার প্রবণতা কমানোর লক্ষ্যে কোমর বেঁধেছে সরকার। সে জন্য বিভিন্ন সংস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জোগাড় করতে উদ্যোগী হয়েছে শ্রম দফতর। সম্প্রতি ঠিকা শ্রমিক নিয়োগ নিয়ে বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত এক সভায় রাজ্যের শ্রম কমিশনার জাভেদ আখতার বলেন, ঠিকা শ্রমিক (কন্ট্রাক্ট লেবার) নিয়োগ করার ক্ষেত্রে মূল নিয়োগকারী এবং ঠিকাদারের নথিভুক্তিকরণের জন্য তাঁরা ইতিমধ্যেই অনলাইন ব্যবস্থা চালু করেছেন। কোন সংস্থা কোথায়, কী ভাবে, কতটা শ্রম আইন ভাঙছে কিংবা কারা তা মেনে চলছে, এ বার তা নথিবদ্ধ করে রাখার ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
সভায় উপস্থিত রাজ্যের অতিরিক্ত শ্রম কমিশনার রীনা তারগেন জানান, কোন সংস্থা শ্রম আইন কতটা ভাঙছে বা মেনে চলছে তা যাচাই করার জন্য তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে শ্রম দফতর। প্রধানত প্রভিডেন্ট ফান্ড, ইএসআই এবং শ্রমিক সংগঠনের কাছ থেকে ওই সব তথ্য জোগাড় করা হচ্ছে। যাতে সেই তথ্যভাণ্ডার খতিয়ে দেখলেই বোঝা যায়, কোথায় কতখানি নজরদারি দরকার। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন সংস্থা পরিদর্শনও করবেন দফতরের আধিকারিকেরা।
তারগেনের দাবি, ‘‘এত দিন নির্দিষ্ট অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত শ্রম দফতরের ইনস্পেক্টররা নিজেরাই ঠিক করতেন কোন সংস্থায় তাঁরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাবেন এবং কোনটাতে যাবেন না। নতুন ব্যবস্থা চালু হলে দফতরের কম্পিউটারে জমা তথ্যভাণ্ডারই বলে দেবে কোথায় কোথায় যাওয়া প্রয়োজন। সেই অনুযায়ী পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে।’’
হাতে আসা বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে নিয়োগকারী সংস্থাগুলিকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করবে দফতর। যে সমস্ত সংস্থা সম্পর্কে খারাপ রিপোর্ট পাওয়া যাবে, তাদের উপরেই চালানো হবে বাড়তি নজরদারি। দফতরের আধিকারিকেরা সমস্যা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতেই সংস্থাগুলির কারখানা বা অফিস পরিদর্শনে যাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy