রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। —ফাইল চিত্র।
জুলাইয়ে দেশের খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার যে চড়বে তা আঁচ করা গিয়েছিল আগে থেকে। কিন্তু তা যে ৭.৪৪ শতাংশে পৌঁছে যাবে তা অনেকেই ভাবতে পারেননি। মূল্যবৃদ্ধির এই হার ১৫ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ফলে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক ফের সুদ বাড়াতে পারে, এই আশঙ্কায় এখন দিন গুনছে শিল্প ক্ষেত্র এবং শেয়ার বাজার। উদ্বেগের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে আরও কয়েকটি কারণে।
লোকসভা নির্বাচনের আর এক বছরও বাকি নেই। তার আগে রয়েছে পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। ফলে মোদী সরকারের কপালেও চিন্তার ভাঁজ। জিনিসপত্রের দামকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য তাই তড়িঘড়ি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের চেষ্টা করছে তারা। চেষ্টা চলছে রাশিয়া থেকে কম দামে গম আমদানির। দেশের বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত করে দাম কমানোর উদ্দেশ্যে রফতানি শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে কোনও কোনও পণ্যের। কিন্তু দেশব্যাপী প্রতিকূল আবহাওয়া চলায় মূল্যবৃদ্ধির হার যে খুব দ্রুত রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক নির্ধারিত সহনসীমার (২%-৬%) মধ্যে ঢুকে পড়বে, তেমনটাও আশা করছেন না কেউ। ফলে অর্থনীতি নিয়ে সরকার যতই ঢাক পেটাক, পরিস্থিতি মোটেই অনুকূল নয়। যেমন—
দেশের স্বল্পমেয়াদি আর্থিক পরিস্থিতি যে তেমন স্বস্তিদায়ক জায়গায় নেই, তা ধরা পড়েছে শেয়ার সূচকের ব্যবহারেও। গত কয়েক দিনের অস্থির বাজারে সেনসেক্স ২০ জুলাইয়ের রেকর্ড উচ্চতা (৬৭,৫৭২) থেকে ২৬২৩ পয়েন্ট হারিয়ে নেমে এসেছে ৬৪,৯৪৯ অঙ্কে। গত সপ্তাহের শেষ দু’দিনে তা নেমেছে ৫৯০ পয়েন্ট, নিফ্টি ১৫৫। বাজার যদিও এখনও ভাল উচ্চতায়। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে অনেকেই শেয়ার এবং ফান্ড বিক্রি করে পড়ে থাকা মুনাফা ঘরে তুলতে চাইছেন। এখন প্রশ্ন হল, সেই টাকা কোথায় খাটাবেন? কেউ কেউ শেয়ার এবং ফান্ড বিক্রির টাকা ব্যাঙ্কে রেখে তা ফের এসআইপির মাধ্যমে বাজারে লগ্নি করছেন। মেয়াদি জমায় সুদ বাড়লেও কর দেওয়ার পরে তার আকর্ষণ অনেকটাই কমে যায়। সে কারণে কেউ কেউ লাভের টাকা স্থাবর সম্পত্তিতে লগ্নি করছেন। সম্পত্তির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বড় শহরগুলিতে সম্প্রতি ফ্ল্যাটের দাম বেশ খানিকটা বেড়েছে। এর মধ্যে কলকাতাও আছে।
লগ্নি সংক্রান্ত অন্যান্য খবরের মধ্যে রয়েছে—
(মতামত ব্যক্তিগত)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy